প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মিলে ‘জুলাই সনদ’ প্রণয়ন করবে, যা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ খুলে দেবে এবং একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনে সহায়তা করবে।
গত বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দ্য ইকোনমিস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সব ঠিকঠাক চললে ডিসেম্বরেই নির্বাচন হতে পারে- এমন আশ্বাস দিয়ে ড. ইউনূস বলেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অবশ্যই নির্বাচন হবে—তবে তিনি নিজে তাতে অংশ নেবেন না।
তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য ও ব্যাংক খাত কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও, অর্থনৈতিক গতি এখনো কম। রাজনীতি এখনও অস্থির। এক জরিপ বলছে, ৬০ শতাংশ মানুষ মনে করে আইনশৃঙ্খলায় তেমন উন্নতি হয়নি। রাস্তায় বিক্ষোভ নিয়মিতই হচ্ছে।
ড. ইউনূস বলেন, ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশ একটানা ভূমিকম্পে কাঁপছে। যা ২০২৪ সালের আগস্টে এক বিশাল বিদ্রোহে রূপ লাভ করে এবং শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়। এখন দেশের অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে যা কিছু ধ্বংস হয়েছে তা ঠিক করার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি এবং জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। আমরা আশাবাদী।
তিনি উল্লেখ করেন, গত বছর একটি শ্বেতপত্রে অভিযোগ করা হয়েছে- শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রতি বছর প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার করা হয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ এবং গণহত্যার অভিযোগসহ মামলা ক্রমশ বাড়ছে।
ঐক্যে পৌঁছানো সহজ ব্যাপার নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে মতপার্থক্য শুরুতেই রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, দেশের অর্থনীতির মূলভিত্তি তৈরি পোশাকখাত নিয়ে একটি কমিশন থাকা উচিত ছিল; আবার কারো অভিযোগ, শিক্ষাখাতকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। সবচেয়ে বড় বিতর্কের জন্ম হয়েছে নারী সংস্কার কমিশনকে ঘিরে, যা অনেক পরে গঠিত হয়। এই কমিশন ইসলামী উত্তরাধিকার আইনে পরিবর্তনের সুপারিশ করে, যাতে নারীদের অধিক অধিকার দেওয়া হয়, আর এতেই ইসলামপন্থি দলগুলো বিক্ষোভ শুরু করে।