পাবনার ঈশ্বরদী মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে অস্ত্রের মুখে ট্রাকসহ ১৭টি গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঈশ্বরদী
মহাসড়কের মুলাডুলি-শেখপাড়া এলাকার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
এই গরুগুলো কোরবানির জন্য ব্যাপারীরা দিনাজপুর থেকে অন্য জেলায় নিয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। ডাকাত দল এ সময় ট্রাক চালকসহ তিনজনের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীর চারঘাটে সড়কের পাশে ফেলে রাখে। তারা বর্তমানে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
ঈশ্বরদী থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এস আই মো. শরিফুজ্জামান গতকাল বুধবার মুঠোফোনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ইতিমধ্যে ডাকাতির ট্রাকটি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে গরুগুলো এখনো উদ্ধার হয়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাত আনুমানিক দুইটার দিকে দিনাজপুর থেকে আসা ট্রাকসহ ১৭টি গরু ঈশ্বরদীর মুলাডুলি আঞ্চলিক মহাসড়ক অতিক্রমকালে ডাকাতের কবলে পড়ে। এসময় ডাকাতের ৭-৮ জন সদস্য আরেকটি ট্রাক দিয়ে গরুবোঝাই ট্রাকটি অবরোধ করে ও অস্ত্রেরমুখে ট্রাক চালক ও হেলপারসহ তিনজনের হাত পা ও মুখ বেঁধে লালনশাহ সেতু দিয়ে পালিয়ে যায়।
এস আই শরিফুজ্জামান জানান. রাতে ডাকাতির খবর পাওয়ার পরপরই পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে। ভোরে লালনশাহ সেতুর সিসিটিভি ফুটেজে দেখা
যায় ডাকাত দল সেতু পার হয়ে ভেড়ামার দিকে অতিক্রম করেছে। এসময় তাদের আরেকটি ট্রাক লালনশাহ সেতু পার না হয়ে অন্যদিকে চলে যায়। সম্ভবত ওই ট্রাকে চালকসহ জিম্মি তিনজন ছিল। ডাকাতদল ওই ট্রাকে রাজশাহীর চারঘাট সড়কের পাশে চালকসহ তিনজনকে ফেলে রেখে চলে যায়। সকালের
দিকে চালকসহ তিনজন ঈশ্বরদী থানায় আসে বিস্তারিত জানায়।
তিনি আরও জানান, ভোরে মুঠোফোনে তারা জানতে পারেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গরু ডাকাতির ট্রাকটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
তবে এখনো জব্দ করা হয়নি।
ঈশ্বরদী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতি বিষয়টি জোর তদন্ত চলছে। ডাকাত গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযানও শুরু হয়েছে। গরু উদ্ধারেও চেষ্টা চলছে।