কলম্বোতে দ্বিতীয় টেস্টে গলের একাদশেই কি ভরসা রাখবে বাংলাদেশ? না কি দেখা যাবে নতুন কারও মুখ? সবচেয়ে বড় প্রশ্নটা ঘোরে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে। প্রথম টেস্টে সাদমান ইসলামের সঙ্গে উদ্বোধনে নেমেছিলেন এনামুল হক বিজয়। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফেরা বিজয়ের সুযোগ ছিল নিজেকে প্রমাণ করার। তবে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। দলে যদি একজন স্পিন অলরাউন্ডার ফেরানো হয়, তবে বিজয়ই কি বাদ পড়বেন কলম্বো টেস্টের একাদশ থেকে? অন্যদিকে নাহিদ রানা বল হাতে আগুন ঝরাতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে শারীরিকভাবে ফিট থাকলে এবাদত হোসেন চৌধুরীকে দেখা যেতে পারে দলে। আরেক পেসার হাসান মাহমুদ থাকছেন বলেই ধরে নেওয়া যায়। তাই তিন পেসার নয়, বরং স্পিন-ভিত্তিক আক্রমণই হতে পারে মূল অস্ত্র।
মিরাজ যদি একাদশে ফেরেন, সেটা কেবল বোলিংয়ের জন্য নয় ব্যাটেও তার কার্যকারিতা দলের ভারসাম্যে বড় ভূমিকা রাখবে। তাই লিটন-মুশফিকের পর ব্যাটিংয়ে গভীরতা বাড়াতে মিরাজের থাকা হতে পারে জরুরি। তবে তাকে খেলাতে চাইলে কার বাদ পড়া বাস্তবতা হবে এই জটিল প্রশ্নে টিম ম্যানেজমেন্টকে জবাব দিতে হবে ক্রিকেটীয় কৌশলের দৃষ্টিভঙ্গিতে।
যদিও প্রথম টেস্টের শেষে বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বিজয়কে আরেকটা সুযোগ দেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয়, তাকে আরেকটু সময় দেওয়া হলে এবং সবাই যদি তার ওপর আস্থা রাখে, তাহলে সে ভালো করবে।’
তবে একাদশ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে কলম্বোর উইকেটও। এসএসসি গ্রাউন্ড বরাবরই ‘ট্র্যাডিশনাল’ উইকেট হিসেবে পরিচিত। প্রথম দুদিন এখানে ব্যাটসম্যানদের জন্য স্বর্গ। বাউন্স থাকে মাঝারি, বল ভালোভাবে ব্যাটে আসে। কিন্তু তৃতীয় দিন থেকে হালকা টার্ন ধরা পড়ে, আর চতুর্থ-পঞ্চম দিনে পিচ হয়ে ওঠে স্পিনারদের মঞ্চ।