সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার হাতিয়ায় সেনাবাহিনী ও অস্ত্রধারীদের গোলাগুলির ঘটনার পর একটি একনলা বন্দুক, চারটি পাইপগানসহ বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ চার জনকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। গতকাল সোমবার বিকেলে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের দেওয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এ ছাড়াও এই অভিযানে ৭টি রামদা, ৯টি বল্লম, ৬টি বুলেট প্রুফ জ্যাকেট, ১ রাউন্ড তাজা বুলেট এবং ১ রাউন্ড ফায়ারকৃত ব্যাংক কার্টিজ জব্দ করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জেলার দিরাই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামের বাসিন্দা বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগের নেতা এশরার হোসেন ও একই গ্রামের বাসিন্দা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানের মধ্যে গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এমনকি এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। তবে একরার ও তার অনুসারীরা প্রায় সময় গ্রামে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শন করত। যার প্রেক্ষিতে গত রবিবার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর একটি দল অস্ত্র উদ্ধারে দিরাইয়ের হাতিয়া গ্রামে অভিযান চালালে অস্ত্রধারী ও সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলাগুলির ঘটনা ঘটে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এই ঘটনায় রাতভর অভিযান চালিয়ে সন্দেহজনক ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন- তাজ উদ্দিন, আমির উদ্দিন, ইরন মিয়া এবং জমির মিয়া।
আটকদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নিহত ব্যক্তি অপ্সাত কোনো সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা গেছে।
উল্লেখ্য, সেনাবাহিনী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলির ঘটনার পর আবু সাঈদ (৩১) নামে এক রাজমিস্ত্রির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
