বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

দেশ রূপান্তরে নিউজ প্রকাশের পর

কুমিল্লা এলজিইডিকে ৫ কর্মদিবসে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ

আপডেট : ২৪ জুন ২০২৫, ১০:৫৬ এএম

বরুড়ায় প্রকল্পে কাজ ছাড়াই বিল উত্তোলনের অভিযোগ শিরোনামে গত ২৬ মে (সোমবার) দৈনিক দেশ রূপান্তর সংবাদ প্রকাশ করার পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর বিষয় আমলে নিয়ে কুমিল্লা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়িত্ব প্রদান করেন। 

১৫ জুন রবিবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অভিযোগ নিষ্পত্তি কর্মকর্তা ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (চঃ দাঃ)  আবু সালেহ মো. হানিফ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয় ৫ কর্মদিবসের মধ্যে সরেজমিন গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে অত্র দপ্তরে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়। ৫ কর্মদিবসের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিলো গত রবিবার (২২জুন)। রিপোর্ট লেখা হওয়া পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অধীনে কোনো কাজ বাস্তবায়ন না করেই ঠিকাদারদের বিল পরিশোধের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-এর এক উপসহকারী প্রকৌশলী এবং একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিকের যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে ভবানীপুর ইউনিয়নের ঘটকপুর খলিল চেয়ারম্যান বাড়ির পাশের খালে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের জন্য এডিপি খাত থেকে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯১০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে এ প্রকল্পের কাজ এলজিইডি এর আওতায় আগেই সম্পন্ন হয়েছিল, রাস্তা পাকা করণ পাশাপাশি খালের পাশে ৩০০ মিটার প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ ব্যয় ছিল ২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। কাজটি শেষ হয় ২০২২ সালের ৭ জুলাই এবং দায়িত্বে ছিলেন ঠিকাদার খলিলুর রহমান।

একই প্রকল্প দেখিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে নতুনভাবে দরপত্র আহ্বান করে শাহজাহান টেকনো বিল্ডার্সকে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯১০ টাকায় কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ওই প্রতিষ্ঠানটির মালিক রোবায়েত আহমেদ উৎস এবং উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আ. মান্নান মিলে পূর্বে সম্পন্ন হওয়া এলজিইডি প্রকল্পকেই এডিপির প্রকল্প হিসেবে দেখিয়ে বিল উত্তোলন করেন। 

সোমবার (২৩ জুন) বরুড়া উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন ও কুমিল্লা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্দুল মমিনের উপরোক্ত বিষয়ে মন্তব্য নেওয়া হয়। 

বিষয়টি নিয়ে বরুড়া উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, চিঠি ইস্যু হয়েছে ১৫ জুন (রবিবার) এবং আমি ২১ জুন (শনিবার) চিঠি পেয়েছি।  আমাদের জুন ক্লোজিং কারনে আমি বিষয়টি নিয়ে সরেজমিনে কিংবা ফাইল দেখতে পারি নাই।  অল্প সময়ের মধ্যে ফাইল দেখে  সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়ে দিবো। 

এই বিষয়ে কুমিল্লা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, আমি চিঠি পেয়েছি। আমি আমার উপজেলা প্রকৌশলীকে চিঠি পাঠিয়েছি। আসলে আমাদের জুন ক্লোজিং চলছে। কাজের ব্যস্ততার জন্য প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সময় লাগছে। 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত