উপজেলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রের নির্দেশনা না মানা নিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নে উষ্মা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয় দিনের মতো মনোনয়ন বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধনের সময় তিনি এ অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।
ওই সাংবাদিক বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের গঠনতন্ত্র না মানা এবং বিভিন্ন উপজেলায় বর্ধিত সভা পণ্ড হওয়ার অভিযোগ করছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ওই সময় তিনি এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ
করেন। জবাবে উষ্মা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা কি সাংবাদিকদের বিষয়? কেন আপনি এ প্রশ্ন করবেন? আমার তৃণমূল নিয়ে কেন আপনার এত মাথাব্যথা? আপনি এটা পারেন না। ডোন্ট ডু ইট (এটা করবেন না)। শুড ইট ইউর কোশ্চেন (এটা কি আপনার প্রশ্ন হওয়া উচিত)? আমাদের তৃণমূল আমরা দেখব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি ইলেকশন (সংসদ নির্বাচন) নিয়ে কথা কথা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কোনো অভিযোগ টিকেছে? এটা আমাদের দলীয় বিষয়, আমরাই সমাধান করব। আমাদের নিজস্ব মেকানিজম (পদ্ধতি) রয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বড় সংগঠন। পাঁচ বছর পরে উপজেলা নির্বাচন হবে। অনেকেরই প্রার্থী হওয়ার আশা-আকাক্সক্ষা থাকতে পারে। তবে এখানে নিয়ম-অনিয়ম দেখার বিষয়ে দলের মনোনয়ন বোর্ড রয়েছে। এটা তো চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এখানে সার্ভে রিপোর্ট রয়েছে। যদি নিয়ম অনুযায়ী কোথাও কিছু না হয়, সেটা মনোনয়ন বোর্ড দেখবে।’ তিনি বলেন, ‘অনিয়মের কাউকে আমরা মনোনয়ন দেব না। যাচাই-বাছাই করে মনোনয়ন দেব।’
মনোনয়ন নিয়ে ওবায়দুল বলেন, ‘আমরা তৃণমূল থেকে এক থেকে তিনজনের নাম চেয়েছি। এখানে আমরা দেখব জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষর রয়েছে কি না। উপজেলা নেতারা বর্ধিত সভা করেছে কি না, তা আমরা দেখব। সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখব। যদি নিয়মের ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে সেখানে আমরা আমাদের সার্ভে রিপোর্ট ফলো করব।’
আওয়ামী লীগ আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শুধু উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দেবে। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এখন চেয়ারম্যানের পাশাপাশি ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের এ সম্পর্কিত সিদ্ধান্তের পরে নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে এ ব্যাপারে আইনগত একটা বিষয় রয়েছে। আইনগত দিক দেখলে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিতে হবে এবং প্রতীকও দিতে হবে। এই সংবাদ পাওয়ার পরে আমি সিইসি ও সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। আইনগত দিক বিবেচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছি।’