বিনিয়োগকারী, কয়েকটি সামাজিক অধিকার গ্রুপ এবং অন্যদের কাছ থেকে মুখ শনাক্তকরণ পদ্ধতির বিষয়ে অভিযোগের পরও এটির পক্ষে টেক জায়ান্ট অ্যামাজন। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে এটি আইন প্রযোগকারী সংস্থাগুলোর জন্য সহায়ক হতে পারে। তবে অ্যামাজন মনে করে, এ ধরনের প্রযুক্তি পরিচালনার জন্য জাতীয়ভাবে নীতিমালা থাকা উচিত।
একটি ব্লগ পোস্টে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসে গ্লোবাল পাবলিক পলিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট মিচেল পাংকি তাদের ‘রিকগনিশন’ সার্ভিসটির পক্ষে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরেন। ২০১৬ সাল থেকে অ্যামাজন এটি ব্যবহার করছে।
ব্লগ পোস্টে পাংকি ফেইস-রিকগনিশনের মাধ্যমে সংগঠিত কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। অপরাধীদের শনাক্তকরণ, নিখোঁজ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে মুখ শনাক্তকরণ পদ্মতিটি কাজে দেবে বলে মনে করেন তিনি।
পাংকি বলেন, ‘দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ফেইস-রিকগনিশন পদ্ধতি ব্যবহার করছি আমরা। কিন্তু এখন পর্যন্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করা হয়নি।’
সম্প্রতি বিনিয়োগকারী এবং ‘আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন’-এর আওতাধীন কয়েকটি সামাজিক সংগঠন অ্যামাজনের ফেইস-রিকগনিশন পদ্ধতিটি বিক্রি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি তোলে। তারা মনে করে টাকার বিনিময়ে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কাছে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন তথ্য বিক্রি করে দেয় অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলো। এই ধরনের পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই পাংকি পদ্ধতিটির পক্ষে তার বক্তব্য দেন।
ঠিক কতগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অ্যামাজনের ফেইস-রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা এবং ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পুলিশ বিভাগ এই প্রযুক্তিটি ব্যবহার করেছে বলে জানা গেছে।
অ্যামাজনের এক মুখপাত্র অবশ্য বলেছেন, ক্রেতাদের নাম থেকে শুরু করে এবং তাদের যে কোনো তথ্য অনুমতি ছাড়া কখনো কাউকে দেওয়া হয় না।
অ্যামাজনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার অবশ্যই সুনির্দিষ্ট আইনি নীতিমালার অধীনে থাকা উচিত। যেন এটি সামাজিক অধিকারগুলোকে মূল্য দিতে পারে এবং সরকার জনস্বার্থে এটি ব্যবহার করতে পারে।