গোলাম মোহাম্মদ কাদের জি এম কাদের নামেই বেশি পরিচিত। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয়
উপনেতা। নির্বাচন কমিশন গঠন, সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকাসহ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি
নিয়ে দেশ রূপান্তরের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সম্পাদকীয় বিভাগের এহ্সান মাহমুদ
দেশ রূপান্তর : রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় পার্টি ৩৫ বছরে পদার্পণ করেছে। এই সময়ে দল হিসেবে জাতীয় পার্টির সফলতা ও ব্যর্থতা কোনগুলো?
জিএম কাদের : জাতীয় পার্টির সফলতা হচ্ছে, যখন জাতীয় পার্টি রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল তখন দেশের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে ওই সময়ে জাতীয় পার্টির গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচি, সংস্কারমূলক কাজ, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া গত ৩১ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থেকেও জাতীয় পার্টি ক্ষমতার নিয়ামক শক্তি হিসেবেই কাজ করে আসছে। এই দীর্ঘ সময় জাতীয় পার্টির অফিস বন্ধ করে রাখা, গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে কুৎসা রটানো, নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, মামলা ও নির্যাতন সহ্য করেই টিকে থাকতে হচ্ছে এটাও জাতীয় পার্টির সফলতা। এতসবের পরেও জাতীয় পার্টি টিকে আছে, কারণ দেশের মানুষ দেখেছে জাতীয় পার্টি তাদের শাসনামলে যে সুশাসন দেখিয়েছে, তা আর কোনো দল পারেনি। নানামুখী জনবান্ধব কাজের জন্য জাতীয় পার্টি এই দেশের মানুষের মনে যে জায়গা করে নিয়েছিল, সেসব কারণেই জাতীয় পার্টি এখনো টিকে আছে। এটাও রাজনৈতিক দল হিসেবে সফলতা।
বাংলাদেশে এখন এক ধরনের বিরাজনীতিকরণ ঘটছে। এখানে রাজনৈতিক দলসমূহকে এখন টিকতে দিচ্ছে না। অনেক রাজনৈতিক দল এখন নেতাসর্বস্ব এবং সাইনবোর্ড নির্ভর দল হয়ে পড়েছে। অনেকের সাংগঠনিক ভিত্তি নেই, সমর্থক গোষ্ঠী নেই, এই অবস্থাতেও জাতীয় পার্টি টিকে আছে এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, রাজনীতিতে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে এটাও জাতীয় পার্টির সফলতা। বাংলাদেশে এখন অন্য দুটি বৃহৎ রাজনৈতিক দলের পরেই জাতীয় পার্টির অবস্থান। তবে সেই দল দুটির তুলনায় স্থায়িত্বের দিক থেকে জাতীয় পার্টি এগিয়ে আছে। বিশেষ করে, নেতৃত্বের পরিবর্তনের পরেও জাতীয় পার্টি টিকে থাকতে পারে এই বার্তাটি দেশের জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া গেছে। জাতীয় পার্টি এদিক দিয়ে এগিয়ে আছে।
আর জাতীয় পার্টির ব্যর্থতা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা। তবে এই সময়ে জাতীয় পার্টি অন্য দলের ক্ষমতার নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। এখন জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করে, সংগঠিত করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
দেশ রূপান্তর : সংসদে আপনারা বিরোধী দল হিসেবে রয়েছেন। কিন্তু সংসদের ভেতরে এবং বাইরে জাতীয় পার্টির বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। জাতীয় পার্টি কার্যকর বিরোধী দল হিসেবে কাজ করতে পারছে কি না এই বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাই।
জিএম কাদের : জাতীয় পার্টির যারা সমালোচনা করছেন, তারা বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে সমালোচনা করছেন না। কিছু মানুষের মধ্যে একটা প্রবণতা আছে, জাতীয় পার্টিকে সমালোচনা করার। তারা অযৌক্তিক সমলোচনা করেন। অনেকে জাতীয় পার্টির সমালোচনা করার মধ্য দিয়ে নিজেকে প্রগতিশীল ভাবতে চান!
আমাদের দেশে এখন যে শাসনব্যবস্থা চলছে, সংবিধানে যেটাকে সংসদীয় গণতন্ত্র বলা হয়, আসলে সেটি সংসদীয় গণতন্ত্র নয়। আমি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে পারি এখানে সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা বলতে গেলে শূন্যের কোঠায়। আমরা যারা বিরোধী দলে রয়েছি, তারা কেবল জনগণের দাবিগুলো সংসদে তুলে ধরতে পারি। কিন্তু এই বিষয়টা পুরোপুরি নির্ভর করে সরকারি দলের ইচ্ছায়। এর চেয়ে বেশি ভূমিকা পালনের সুযোগ সংবিধান আমাদের দেয়নি।
এছাড়া সংসদের বাইরে বিরোধী দলের ভূমিকা বলতে আগে যেটি দেখা যেত, জ্বালাও- পোড়াও, হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে বিরোধী দল সরকারকে দাবি আদায়ে বাধ্য করত। কিন্তু, বিগত কয়েক বছরে এটি দেখা গেছে যে, এমন আন্দোলন করে সরকারের কোনো ক্ষতি করা যায় না। ক্ষতি যা হয় জনগণের। তাই আগের মতো বিরোধী দলের মাঠের প্রতিবাদ বা রাজনৈতিক কর্মসূচিও সেভাবে এখন আর হচ্ছে না। জাতীয় পার্টি আলাদাভাবে মাঠে কিছু করতে পারছে না এসব হচ্ছে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে অপপ্রচার।
দেশ রূপান্তর : পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবর্তমানে আপনাদের দলের সাংগঠনিক অবস্থা কতটা দৃঢ় অবস্থায় আছে?
জিএম কাদের : দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নানামুখী কাজে দেশে-বিদেশে তার জনপ্রিয়তা এবং পরিচিতি ছিল। নিজের ভাবমূর্তি দিয়ে প্রায় এককভাবেই তিনি জাতীয় পার্টিকে প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে সবরকম প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেন। এইসব কারণে তার মৃত্যুর পরে অনেকেই বলাবলি শুরু করেছিলেন, এরশাদের অনুপস্থিতিতে জাতীয় পার্টি টিকবে না। ভেঙে যাবে। এমনসব আলোচনা ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, জাতীয় পার্টি দলের প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের অনুপস্থিতিতেও সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। তার দেখানো পথেই জাতীয় পার্টি এগিয়ে চলছে। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি আগের চেয়ে সাংগঠনিকভাবে সুদৃঢ় অবস্থানে আছে।
দেশ রূপান্তর : জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের অনুগত রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে, রাজনীতি বিশ্লেষকরা এমনটা মনে করেন। তারা বলেন বিএনপিকে দূরে রাখতেই এটা একটা কৌশল। এ বিষয়ে কী বলবেন?
জি এম কাদের : না। বিএনপিকে দূরে রাখতেই এটা করা হচ্ছে এ কথা ঠিক নয়। পৃথিবীর সব মানুষই দুইভাগে বিভক্ত রক্ষণশীল এবং উদারনৈতিক। এদিকে দিয়ে বিচার করলে বাংলাদেশের প্রায় ৭০-৮০ ভাগ লোক মধ্যমপন্থি। আর দশ থেকে পনেরো ভাগ লোক হচ্ছে হয়তো বামপন্থি না হয় ডানপন্থি। আবার এই মধ্যমপন্থি লোকদেরও একটি অংশ কিছুটা রক্ষণশীল বা ডানে আবার উদারনৈতিক বা বামে ঝুঁকে থাকে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে মধ্যমপন্থি কিন্তু বামঘেঁষা আর বিএনপি হচ্ছে ডানঘেঁষা মধ্যমপন্থি। এই দেশে যখন বিএনপির পতন হয়েছে তখন জাতীয় পার্টির উত্থান হয়েছে। আবার যখন জাতীয় পার্টির পতন হয়েছে তখন বিএনপির উত্থান হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ মনে করেছে জাতীয় পার্টিকে সঙ্গে রাখলে তারা লাভবান হবে, জাতীয় পার্টিকে ছাড়া আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা দুঃসাধ্য হবে। জাতীয় পার্টি এবং বিএনপির রাজনীতি প্রায় একই। এখন যদি দুটি দল একই ছাতার নিচে আসে, তবে দেখা যাবে কিছুটা বড় রাজনৈতিক শক্তির দল হিসেবে বিএনপি জাতীয় পার্টিকে নিজের মধ্যে নিয়ে নেবে। তখন জাতীয় পার্টির কর্মীরা মনে করবে, যেহেতু একই নীতির রাজনীতি তাই আলাদা করে জাতীয় পার্টির সঙ্গে থেকে কী হবে! জাতীয় পার্টি ৯০-এর পর থেকে এভাবেই রাজনীতি করে আসছে। এখন ভবিষ্যতে যদি দেখা যায়, বিএনপিকে নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই, তখন দেশের আওয়ামী বিরোধী লোকজনকে একত্রিত করতে জাতীয় পার্টিকে যদি নেতৃত্ব দিতে হয়, জাতীয় পার্টি তখন সেভাবে কাজ করবে।
দেশ রূপান্তর : হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট এবং পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বেশ কিছু জটিলতায় প্রয়াত এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন। এই বিষয়ে আপনার বক্তব্য জানতে চাই।
জিএম কাদের : এরশাদ সাহেবের যে বিষয়টি সেটি হলো তিনি আমাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, তিনি এই দেশের জন্য অনেক অবদান রেখে গেছেন, তার ভাবমূর্তি ও সুনাম নষ্ট করবে এমন কোনো কার্যক্রমকে আমরা প্রতিহত করব। সে জন্য দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে তা প্রতিহত করা হবে। কারও ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য এরশাদ সাহেবকে কেউ ব্যবহার করবে এটা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা মেনে নেবে না।
দেশ রূপান্তর : আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কীভাবে অংশ নেবে? জোটগতভাবে নাকি একক দল হিসেবে?
জিএম কাদের : আমরা এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। আগামী নির্বাচনে জোটবদ্ধ বা একক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনো হয়নি। একটি বিষয় আমরা এখন লক্ষ রাখছি, বিশ^রাজনীতি এখন নতুন করে চিন্তাভাবনা করে এগোবে। কভিডের কারণে সারা বিশ^ই নতুন বাস্তবতায় চলছে। এটাও দেখতে হবে। এছাড়া আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার আফগানিস্তান পরিস্থিতিতে সবাই নজর রাখছে। সেখানে আমেরিকার পরাজয়ের পরে এবং তালেবানের নতুন উত্থানের পরে সবকিছু নতুন করে ভাবছে সবাই। চীন, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক আফগান ইস্যুতে কী ভূমিকা রাখছে, তা সবাই দেখছে। প্রতিবেশী ভারত কোন অবস্থান বা নীতি গ্রহণ করবে সেটিও দেখা যাবে। এমন পরিস্থিতিতে আগামীতে বাংলাদেশের যে নির্বাচন, সেটি প্রায় আরও দুই বছরের মতো সময় বাকি রয়েছে। তাই নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি কোনদিকে যাচ্ছে, সেটি দেখার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
দেশ রূপান্তর : অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গ সমাধান নয় বলে আপনি সম্প্রতি মতামত দিয়েছেন। আবার আমরা দেখছি যে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে নানা সমালোচনা রয়েছে। এক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধানের জন্য কী করা যেতে পারে বলে মনে করেন?
জিএম কাদের : তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলে ৩ মাসের জন্য তারা আসবে আবার চলে যাবে। কিন্তু এরপরেও আবার নানা পর্যায়ের নির্বাচন হবে। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন আর নিরপেক্ষ হবে না। তারা নির্বাচনকে পক্ষপাতমূলক করবে। তাই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এর জন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে। ওখানে ওই মানসিকতার লোকদের নিয়োগ দিতে হবে। যারা ক্ষমতায় আসবে তারা আবার আগের মতোই সবকিছু করবে। কোনো গুণগত পরিবর্তন আসবে না। এতে করে যেটা হবে কেবল একটি সরকারেই পরিবর্তন আসবে। দেশে কোনো শাসনব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন আসবে না, সুশাসন আসবে না, দুর্নীতি কমবে না। সংবিধান মেনে নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। আমরা যেটি দেখেছি, ৯০-এর পর থেকে দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠানকে কাজ করতে দেওয়া হয় না। এটা আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি যখন যে ক্ষমতায় ছিল, প্রত্যেকেই করেছে। এখন প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করাতে হবে।
দেশ রূপান্তর : বর্তমান সরকারের অধীনেই যদি সামনের জাতীয় নির্বাচন হয়, তবে জাতীয় পার্টি নির্বাচন বর্জন করবে কি না? কিংবা নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিতে ভবিষ্যতে আপনাদের দলকে মাঠে দেখা যাবে কি?
জিএম কাদের : এখনো সে-রকম অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। তবে এখন দাবি আদায়ে মাঠের আন্দোলন কতটা ফল দেবে সেটাও নতুন করে ভেবে দেখার বিষয়। কারণ জনগণের দুর্ভোগ বাড়বে এমন আন্দোলন বা কর্মসূচি এখন দেওয়া যাবে না। অপারেশন সফল হলো কিন্তু রোগী মারা গেল এমন কর্মসূচি দেওয়ার আগে ভাবতে হবে। তবে এখন যে পরিস্থিতি চলছে এমন চললে শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি আগামী দিনে কোথায় যায়, সেটা বলা যাচ্ছে না।
দেশ রূপান্তর : বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক অবস্থা যেভাবে চলছে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে এটিকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
জিএম কাদের : এখন যেভাবে চলছে, তা দেশের রাজনীতির জন্য সামগ্রিকভাবে অত্যন্ত ক্ষতিকর। এখানে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে দেশে বিরাজনীতিকরণ চলছে। কোনো রাজনৈতিক কর্মকা-কে অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। ক্ষমতার পালাবদল হওয়ার জন্য যে নির্বাচন ব্যবস্থা রয়েছে, সেটিকে ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষ নির্বাচনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এখানে এখন এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক এবং প্রশাসননির্ভর হয়ে সবকিছু চলছে। এভাবে ধীরে ধীরে একটা বিরাজনীতিকরণের ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে।
দেশ রূপান্তর : এ থেকে উত্তরণের পথ কী?
জিএম কাদের : নির্বাচনকে অর্থপূর্ণ করতে হবে। নির্বাচনকে অর্থপূর্ণ করতে পারলেই এই অবস্থা থেকে মুক্তি মিলবে। এখন নির্বাচনকে অর্থপূর্ণ করার বাকি যে শর্ত রয়েছে সেগুলো সংবিধান ও গণতান্ত্রিক উপায়ে সম্পন্ন করতে হবে।
দেশ রূপান্তর : অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে।
জিএম কাদের : আপনাকেও ধন্যবাদ।