ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১২ দিন ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলা ও বোমাবর্ষণে বিপর্যস্ত সেখানকার মানুষ। অব্যাহত এ হামলায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ। এ ছাড়া প্রাণভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে আরও কয়েক লাখ মানুষ।
মানবাধিকার সংস্থা জাতিসংঘ বলছে, প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বসবাসের শহর গাজা থেকে নিজেদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। অর্থাৎ অবরুদ্ধ এই উপত্যকার প্রায় অর্ধেক মানুষই বর্তমানে বাস্তুচ্যুত।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
জাতিসংঘের হিসেবে, উত্তর গাজা থেকে গাজার মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে, জাতিসংঘ পরিচালিত আশ্রয়শিবিরে বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৩ লাখ ৫২ হাজার মানুষ।
প্রতিবেদনে ইউএনডব্লিউআরএর এসব স্কুলের অবস্থা ক্রমাগত ভয়াবহ হচ্ছে বলে বর্ণনা করা হয়েছে। এই স্কুলগুলোর মধ্যে একটি মধ্য গাজার আল-মাগাজি শরণার্থী শিবির। এখানে প্রায় চার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়া হয়।
এখানে আশ্রয়রত বেশীরভাগ মানুষই ইসরায়েলি বিমান হামলার সময় আহত হয়েছেন। পরে সোমবার বিকেলে এদের মধ্যে থেকে কমপক্ষে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ছাড়া জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি স্থানে আশ্রয়শিবিরের পাশাপাশি হাসপতালেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। মঙ্গলবার রাতে গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫০০ মানুষ নিহত হয়।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায়। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ সংঘাতে দুই পক্ষের ৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।