কর্মব্যস্ত জীবনে সময়ের পেছনে ছুটতে গিয়ে কিছু কিছু রোগের প্রকোপ বাড়ছে। তার মধ্যেই রয়েছে গলব্লাডারে স্টোনের সমস্যা। বিভিন্ন বয়সের মানুষই এখন এই সমস্যায় ভুগছেন। এই রোগের মূল উপসর্গ পেটে ব্যথা। নিয়মিত পেটে ব্যথাই জানান দেয় পিত্তথলিতে পাথর জমেছে। কিন্তু আরও কিছু উপসর্গ রয়েছে। তা জেনে রাখা জরুরি। পেটে ব্যথা হয় নানা কারণেই। তবে তারও আগে জানা দরকার অন্য একটি কথা।
দীর্ঘ ক্ষণ খালিপেটে থাকলে গল ব্লাডারে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ওজন বেড়ে গেলে পিত্তথলির ওপর চাপ পড়ে। তার জেরেও অনেক সময় পিত্তথলিতে পাথর জমে। বয়স চল্লিশ পার হলে এই রোগের আশঙ্কা বেশি। তাই চল্লিশের আশপাশের বয়স থেকে পানি পানের নিয়মে আরও সচেতন হওয়া জরুরি। শরীরে পানির ঘাটতি হতে দিলে চলবে না। ডায়াবেটিস থাকলেও সতর্ক হতে হবে, কারণ এই রোগে আক্রান্তদের গল ব্লাডারে পাথর জমার আশঙ্কা বেশি। এ ছাড়া বংশে কারও এই রোগ থাকলেও সাবধান হওয়া ভালো। এই রোগ অনেক সময়েই বংশানুক্রমিক।
যে উপসর্গগুলি দেখলে বুঝবেন আপনি গল ব্লাডারে আক্রান্ত
১) পিত্তাশয়ে পাথর হলে মাংস বা তেল-মশলাদার খাবার খেলেই পেটে তীব্র যন্ত্রণা হয়। সঙ্গে হয় বমিও হয় অনেকের।
২) মাঝেমাঝেই কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে এবং সঙ্গে পেটে ব্যথাও হয়।
৩) পিত্তথলিতে পাথর জমার মূল লক্ষণ পেটের ডান দিক থেকে ব্যথা শুরু হয়ে ডান কাঁধ পর্যন্ত পৌঁছনো। এ রকম হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪) প্রস্রাবের রং দেখেও সতর্ক হতে পারেন। গাঢ় খয়েরি রঙের প্রস্রাব পিত্তথলিতে পাথর জমার ইঙ্গিত হতে পারে।
৫) গল ব্লাডারে পাথর জমলে অনেকেই জন্ডিসের মতো রোগে আক্রান্ত হন। জন্ডিস হলেও সতর্ক থাকতে হবে।