তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে বগুড়ার জনজীবন। বিপর্যস্ত হয়েছে কর্ম এলাকা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল তিনটায় বগুড়ায় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অপরদিকে বগুড়া বৃষ্টির জন্য সদরের বিভিন্ন স্থানে সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় বগুড়ার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রী, যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ১৯৮৯ সালে ২১ এপ্রিল বগুড়ায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল। বিকেল ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান।
সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান, বগুড়ায় শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা বগুড়ার ইতিহাসে ২য় সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এর আগে ১৯৮৯ সালে ২১ শে এপ্রিল বগুড়ায় ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছিল। তীব্র তাপদাহ চলমান থাকবে। এজন্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা খুব কম রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহরের মালতীনগর এমএস ক্লাব মাঠ সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে প্রায় ১ হাজার মুসল্লি বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করেন। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আব্দুল মতিন।
মাওলানা আব্দুল মতিন বলেন, দিন দিন অসহনীয় গরম বেড়েই চলেছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষজন খুব সমস্যায় রয়েছেন। এছাড়াও ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। তাই আমরা বৃষ্টির জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করলাম। যাতে তার রহমতের বৃষ্টিতে আমাদের দেশকে তিনি ভিজিয়ে দেন। এই অতিষ্ঠ গরম থেকে আমাদের মুক্তি দান করেন।
এর আগে শুক্রবার সকাল সোয়া ৮টা সদরের ফাঁপোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে মাওলানা জহুরুল ইসলামের ইমামতিতে ওই এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক মুসল্লিরা বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইসতিস্কারের নামাজ আদায় করেছেন।
অপরদিকে জুমার নামাজের আগে বগুড়া শহর ও আশপাশের এলাকায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ জনের চলাচল খুব কম চোখে পড়েছে।