বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

বাণীতে মির্জা ফখরুল

নিপীড়ন নির্মূলে নজরুলের লেখনী প্রেরণা জোগাবে

আপডেট : ২৫ মে ২০২৪, ০৩:০৩ এএম

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশ থেকে নিপীড়ন-নির্যাতন ও বৈষম্য নির্মূল করতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখনীর আবেদন চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা জোগাবে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

‘কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের এক অবিসংবাদিত কিংবদন্তি।’ এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পারিবারিক জীবনের নানা অভিঘাতের মধ্যেও তিনি নিরলসভাবে সাহিত্যচর্চা করেছেন। একাধারে সাহিত্যিক, কবি, সংগীতজ্ঞ, সুরকার, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে কাজী নজরুল সর্বদাই ছিলেন উচ্চকণ্ঠ। নজরুলের লেখা স্বাধীনতা, মানবতা ও বিপ্লবের কবিতা পাঠে মানুষের হৃদয়ে স্পন্দন জাগে, রক্তে শিহরণ তোলে। তার ক্ষুরধার  লেখনীতে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মন্ত্র উচ্চারিত হয়।’

তিনি বলেন, ‘কাজী নজরুল ইসলাম দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতন সহ্য করতেও দ্বিধা করেননি। তার কবিতা ও গানে ভালোবাসা, মানবতা ও সাম্যের বাণী বিধৃত হয়েছে। তার কবিতার মূল উপজীব্য ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার, সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ। জাগরণের কবি কাজী নজরুল উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তার কবিতা ও গান আমাদের মুক্তি সংগ্রাম এবং পরের সব স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রামে সাহস জুগিয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তার চল্ চল্ চল্ গানটি আমাদের জাতীয় রণসংগীত হিসেবে পেয়ে আমরা গর্বিত। আমি বিশ্বাস করি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল ছিন্ন করে দেশ থেকে নিপীড়ন-নির্যাতন ও বৈষম্য নির্মূল করতে তার লেখনীর আবেদন চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা জোগাবে। পাশাপাশি সংগীতে তার অবদান চিরকালীন ও চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।’

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত