দক্ষিণ কোরিয়ার ছবি দেখা ও কে-পপ গান শোনার কারণে ২০২২ সালে প্রকাশ্যে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছিল উত্তর কোরিয়া সরকার। ওই যুবক দক্ষিণ কোরিয়ার গান ও অন্যদেরও সরবরাহ করেছিলেন।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়া থেকে পলায়নকারীদের নিয়ে ‘উত্তর কোরিয়া মানবাধিকার প্রতিবেদন ২০২৪’ প্রকাশ করে দক্ষিণ কোরিয়া। এই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য। খবর নিউইয়র্ক পোস্ট।
উত্তর কোরিয়া থেকে দক্ষিন কোরিয়ায় পালিয়ে আসা ৬৪৯ জনের সাক্ষ্য নিয়ে তৈরি করা হয় “উত্তর কোরিয়া মানবাধিকার প্রতিবেদন ২০২৪”। সেখানে বলা হয়, ২২ বছর বয়সী ওই যুবকের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিষয়টি জানিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার একাধিক নাগরিক। যারা তাদের নিজ দেশ থেকে পালিয়ে দক্ষিণে চলে এসেছেন।
২২ বছর বয়সী ওই যুবক দক্ষিণ কোরিয়ার ৭০টি গান ও তিনটি ছবি দেখার পাশাপাশি সেগুলো অন্যদেরও সরবরাহ করেছিলেন। মূলত দক্ষিণের সংস্কৃতি দেখা এবং সেগুলো অন্যদের সরবরাহ করার বিষয়টি একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখে উত্তর কোরিয়া।
পাশ্চাত্য সংস্কৃতির "মন্দ প্রভাব" থেকে জনগণদের রক্ষায় কে-পপের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল উত্তর কোরিয়ার সাবেক নেতা কিম জং ইলে। তবে দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা সংস্কৃতি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২০২০ সালে আরও কঠিন আইন করে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিন জং উন। আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় কঠোর ব্যবস্থা।
তবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি অস্বীকার করে থাকে উত্তর কোরিয়া। তারা দাবি করে, তাদের নেতাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এ ধরনের প্রচারণা চালানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে পরিচালিত ‘রেডিও ফ্রি এশিয়া’ ২০২২ সালে জানিয়েছিল ‘পুঁজিবাদ’ ফ্যাশন ও চুলে কাটিং দেওয়ার ওপরও কর্তৃত্ব স্থাপনের চেস্টা চালিয়ে থাকে উত্তর কোরিয়া।