মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

বাজারে পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে

কাঁচা মরিচ-করলা-গাজর-টমেটো ছাড়া অন্য সবজির কেজি ৫০-৭০ টাকা

আপডেট : ২৯ জুলাই ২০২৪, ১২:৪৬ পিএম

কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে পণ্য সরবরাহে নজিরবিহীন ঘাটতি দেখা দেয় বাজারে। আন্দোলনকারীদের ‘বাংলা ব্লকেড’ ও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির পাশাপাশি ব্যাপক সহিংসতা এবং পরবর্তীকালে কারফিউ জারি করার পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ফলে বাজারে মাছ, মাংস, সবজির দাম চড়ে যায়।

তবে আন্দোলন পরিস্থিতি সামাল দিতে জারি করা কারফিউ গত বুধবার থেকে শিথিল করায় এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে নিত্যপণ্যের বাজারে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সবজিসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে দুই একটি সবজি ছাড়া সব ধরনের খাদ্যপণ্যের দামে কিছুটা স্বস্তি আসতে শুরু করেছে। তবে মৌসুম না থাকায় ও আমদানিনির্ভর হওয়ায় টমেটো আর গাজরের দাম এখনো চড়াই রয়েছে।

সরেজমিন গতকাল রবিবার রাজধানীর তালতলা, রাজারবাগ ও পশ্চিম তেজতুরী বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য পাওয়া যায়।

বাজারে গাজর, টমেটো, মরিচ ও করলা ছাড়া বেশিরভাগ সবজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে কিনতে পারছেন ক্রেতারা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমে প্রতি কেজি পটোল ৫০ থেকে ৬০, চিচিঙ্গা ও ঢেঁড়স ৬০, পেঁপে ৫০, চাল কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৪০, কেজিপ্রতি শসা ৮০, কচুরমুখী ৭০ থেকে ৮০, টমেটো ২০০ থেকে ২২০, গাজর ২০০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতি পিস আকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কিনতে পারছেন ক্রেতারা। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২০০ থেকে ২২০, সাদা আলু ৬০ থেকে ৬৫, বগুড়ার লাল আলু ৭০, পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ১২০ ও করলা ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তালতলা কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা বাশার হোসেন দেশ রূপান্তরকে বলেন, পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ রয়েছে। এ কারণে টমেটো আর গাজর ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। রাজারবাগ এলাকার মা স্টোরের স্বত্বাধিকারী শরিফ মাহমুদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, মাঝে বন্যা পরিস্থিতির জন্য সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দামে আগুন ছড়িয়েছে। তবে গত সপ্তাহের রাজপথের উত্তাপ সবকিছু ছাপিয়ে খাদ্যপণ্যের দাম দুই-তিনগুণ বেশি বেড়েছিল। সরবরাহ বাড়ায় বর্তমানে তা কমে এসেছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় কমেছে মুরগির দাম। প্রতি কেজি ২০ টাকা পর্যন্ত কমে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ এবং সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাড়া-মহল্লার কিছু কিছু দোকানে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০০ থেকে ২১০ টাকাও বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া আগের মতোই প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১১৫০ টাকায়। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পশ্চিম তেজতুরী বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, পাইকারি বাজার থেকে কম দামে কিনতে পারলে খুচরায়ও দাম কমে। কিন্তু আন্দোলনের এ সময়টায় মুরগিই কিনতে পারিনি। তবে সবকিছু স্বাভাবিক হওয়ায় এখন বাজারে মুরগি আসছে এবং দামও কমেছে।

এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪০০, পাঙ্গাশ ২০০, তেলাপিয়া ২৬০, কাঁচকি ৫০০, কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৪০, চিংড়ি ৭০০, দেশি টেংরা ৮০০, পাবদা ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত