মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

নিষিদ্ধ বিষয়ে যা বলছে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াত

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২৪, ১১:৫১ এএম

রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও দলটির ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে আজ। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা হলেও প্রশাসনিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দিনভর বৈঠক করেছেন সরকারের মন্ত্রীরা। এসব বৈঠকে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ ঘোষণার পর সম্ভাব্য রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আওয়ামী লীগ যা বলছে—

জামায়াত ও তাদের ছাত্র সংগঠন শিবির নিষিদ্ধ করার এখনই উপযুক্ত সময় কি না, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে আওয়ামী লীগে। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা দেশ রূপান্তরকে বলেন, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই ঐতিহাসিক একটি ব্যাপার। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বকারী দল আওয়ামী লীগের কাছে কোটি কোটি মানুষের দাবি এটা। এটি পূরণ হলে সাধুবাদ পাওয়া উচিত সরকার তথা আওয়ামী লীগের। কিন্তু আওয়ামী লীগ তথা সরকারের জন্য এ দাবি পূরণে সময় কতটা অনুকূল সেই প্রশ্ন বেশিরভাগ নীতিনির্ধারকদের।

বিস্তারিত পড়ুন এখানে

 

বিএনপি যা বলছে—

কোটা আন্দোলন থেকে জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে সরাতেই জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের উদ্যোগ। এটিকে সরকারের একটি প্রকল্প মনে করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এ ধরনের ঘটনা (সিদ্ধান্ত) যারা স্বৈরাচারী, ডিক্টেটর, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে না, তাদের মাধ্যমে ঘটে। এরা এ ধরনের সিদ্ধান্ত বহু নিয়েছে, বিভিন্ন সময়ে তাদের নিতে হয়েছে। কেন এত দিন এ সিদ্ধান্ত তারা নেয়নি? এখন কেন? এর পেছনে তাদের অনেক যুক্তি থাকবে, অনেক কথা বলবে। আমাদের সম্পর্কেও অনেক কথা বলবে, তাতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। আমাদের বক্তব্য খুব পরিষ্কার, আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা মনে করি, এখানে রাজনীতি করার অধিকার তাদের (জামায়াতের) আছে। সব দল নিষিদ্ধ করে সরকার আবার বাকশাল ফিরিয়ে আনতে চায়।’

বিস্তারিত পড়ুন এখানে

 

জামায়াত যা বলছে—

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা বেআইনি, এখতিয়ার বহির্ভূত ও সংবিধান পরিপন্থী বলে দাবি করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দল অন্য একটি রাজনৈতিক দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কোনো দল অন্য দলকে নিষিদ্ধ করার ধারা চালু করলে এক দল অন্য দলকে নিষিদ্ধ করতে থাকবে। তখন রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা থাকবে না।’

বিস্তারিত পড়ুন এখানে

 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত