কড়া রোদ আর প্যাচপেচে ঘাম, গরমে সবারই বেহাল দশা। দুর্গন্ধ, র্যাশ, মাথায় ঘাম বসে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো ত্বক-চুলের স্বাস্থ্য খারাপ করে দেয়। এ সময়টাতে কিছু নিয়ম মেনে চললেই সতেজ ও তরতাজা থাকতে পারবেন।
প্রচন্ড গরমের দিনে অন্তত দু’বার গোসল করুন। গোসলের পানিতে কোলন মিশিয়ে নিতে পারেন। চন্দন বা গোলাপে ভরপুর বডি শ্যাম্পু, শাওয়ার জেল ব্যবহার করলে সুগন্ধ থাকবে শরীর জুড়ে। ঘাড়, আন্ডারআর্ম, পা ভালো করে পরিষ্কার রাখুন। খেয়াল রাখুন এসব অংশ বেশি সময় ধরে ঘেমে না থাকে। দিনে চার-পাঁচবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। বাইরে বের হওয়ার সময় ডিওডোর্যান্ট ব্যবহার করুন ও সঙ্গে রাখুন। গরমে রোল-অন ডিওডোর্যান্টের চেয়ে স্প্রে-ডিওডোর্যান্টই ভালো। তবে খুব স্ট্রং ডিওডোর্যান্ট ব্যবহার করলে র্যাশ বের হতে পারে। তাই এ বিষয়ে খেয়াল রাখুন।
ঘামের সমস্যা সমাধানে ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিতে পারেন। আন্ডারআর্ম পরিষ্কার রাখতে আলুর স্লাইস ব্যবহার করতে পারেন। তুলসীপাতা ভিজিয়ে রাখুন সারারাত। পরদিন এই তুলসীপাতা ভেজানো পানি, মুলতানি মাটি আর এলাচ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। গোসলের সময় এই পেস্ট ব্যবহার করলে ঘামের সমস্যা কমবে। মুলতানি মাটি আর গোলাপজল মিশিয়ে স্ক্রাবও বানিয়ে নিতে পারেন। র্যাশ কমানোরও ঘরোয়া উপায় হলো পানিতে নিমপাতা ফুটিয়ে, সেই পানি গোসলের পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। ১০ গ্রাম চন্দন গুঁড়ার পেস্ট, পাঁচ গ্রাম পোস্তবাটা আর গোলাপজল মিশিয়ে র্যাশের ওপর লাগান। গোসল করার এক ঘণ্টা আগে নারকেল তেল আর জিরা গুঁড়ার মিশ্রণ লাগাতে পারেন শরীরে। চাল গুঁড়া, তুলসীপাতা আর লাউয়ের পেস্ট লাগাতে পারেন মুখের র্যাশের জন্য। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। গরমের খুব চেনা সমস্যা হলো চুলের গোড়ায় ঘাম জমা। তাই সপ্তাহে দুতিন বার শ্যাম্পু করতেই হবে। অল্প কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। রাতে ভালো করে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করে নিন। চুল খুলে পাখার হাওয়ায় ঘাম শুকিয়ে নিন।
গরমে পা-ঢাকা জুতা পরে থাকলে পা ঘেমে যায়। হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে ফুটবাথ নিন। পানিতে পছন্দসই এসেনশিয়াল অয়েলও মিশিয়ে নিতে পারেন। পায়ে দুর্গন্ধের সমস্যা কমবে। শুকনো করে পা মুছে পাউডার লাগান, ঘাম কম হবে। পায়ের পাতায় নিম তেল ম্যাসাজ করলে জীবাণু দূরে থাকবে। সুতির মোজা পরুন। এমন জুতা পরুন যাতে পায়ে হাওয়া ঢোকে। এ সময়টায় একটু ঠান্ডা-ঠান্ডা জিনিস খান। পানি, লাচ্ছি, ডাবের পানি, পাতিলেবুর শরবত, ফ্রুট সালাদ প্রভৃতি শরীর ঠান্ডা রাখে। চা-কফি একটু কম পান করলে ভালো।