৩ ডিসেম্বর থাইল্যান্ডকে হারালেই ২০২৫ জুনিয়র হকি বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণ হবে বাংলাদেশ। আজ রবিবার ওমানের মাসকটে জুনিয়র এশিয়া কাপে গ্রুপের শেষ ম্যাচে শক্তিশালী চিনের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছে বাংলাদেশের যুবারা। চার ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপে তৃতীয় হয়েছে বাংলাদেশ।
সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন ভেস্তে গেলেও বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে খেলার সুযোগটা ভালোভাবেই আছে। পঞ্চম থেকে অষ্টমস্থান নির্ধারণী ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল থাইল্যান্ডকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচটা জিতলেই প্রথমবারের মতো জুনিয়র বিশ্বকাপে লেখা হবে বাংলাদেশের নাম।
চীনের বিপক্ষে বাংলাদেশের এক পয়েন্ট এসেছে অনেক নাটক শেষে। ম্যাচের শেষ সাইরেন বাজার চার সেকেন্ড আগে চীনের পক্ষে পিসি’র বাঁশি বাজান আম্পায়ার। মাঠে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ। তবে সেটা প্রথমে ধোপে টিকেনি। পিসিকে গোলে পরিণত করে উল্লাসে মেতেছিল চীনের খেলোয়ড়রা।
তবে ভিডিও আম্পায়ার সেই গোল বাতিল করে দিলে মাঠে দেখা যায় উল্টো চিত্র। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এই ড্রয়েই জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে। অন্যদিকে চীনের খেলোয়াড়রা বিফল প্রতিবাদ জানাতে থাকেন আম্পায়ারদের। একবার গোল দিয়ে আবার গোল বাতিল করায় আপত্তি জানায় তারা।
খেলা শেষ হওয়ার পরও কয়েক মিনিট চীনের খেলোয়াড়রা মাঠে দাঁড়িয়ে থাকেন। টুর্নামেন্টের পরিচালক ও আম্পায়ার ম্যানেজাররা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে আসেন। তারা আলোচনা-পর্যালোচনা করে চীনের গোলটি বৈধতা দেননি। এতে হাফ ছেড়ে বাঁচে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দলের কোচ মওদুদুর রহমান শুভ ওমান থেকে ফোনে জানান, 'তাদের পেনাল্টি কর্নার থেকে গোলটি সঠিকভাবে নেয়া হয়নি। আমাদের প্রতিবাদে গোল বাতিল হয়েছে। থাইল্যান্ডকে পরের ম্যাচে হারাতে পারলে পঞ্চম-ষষ্ঠ স্থানের জন্য খেলব। সেই ম্যাচ নিশ্চিত করতে পারলেই পরের বছর জুনিয়র বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হবে।'
অন্তিমক্ষণে চীনের গোলটা বাতিল না হলে বাংলাদেশের সম্ভাবণা অনেকটাই ফিকে হয়ে যেত। তখন বাংলাদেশ হতো গ্রুপের চতুর্থ দল। সেক্ষেত্রে তাদের 'বি' গ্রুপের তৃতীয় অর্থাৎ দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে খেলতে হতো।
শক্তির দিক থেকে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে। তাদের হারিয়ে পঞ্চম অথবা ষষ্ঠ হওয়া বাংলাদেশের জন্য বলতে গেলে অসম্ভব। সেক্ষেত্রে সপ্তম হয়ে বিশ্বকাপে যেতে হলে ডু-অর-ডাই ম্যাচে জিততেই হবে বাংলাদেশকে।
এবারের জুনিয়র বিশ্বকাপে এশিয়া থেকে ছয়টি দল সুযোগ পাবে। আয়োজক হিসেবে ভারত আগেই নিশ্চিত করেছিল বিশ্বকাপে খেলা। ভারত 'বি' গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে খেলবে সেমিফাইনাল। আয়োজক হওয়ায় ভারত ছাড়াই এশিয়া থেকে খেলবে ছয় দল। এর মধ্যে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও জাপান চলে গেছে বিশ্বকাপে।