সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

‘কপালে থাকলে ছয় মেরে দিব’ –শেষ বলের আগে আলিস

আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:২৯ এএম

খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রোমাঞ্চকর জয়ে বিপিএলের ফাইনালে উঠেছে চিটাগং কিংস। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৫ রানের। রহস্য স্পিনার হিসেবে খ্যাত আলিস আল ইসলাম শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে সব সমীকরণ মিলিয়ে দেন। এর আগেই পায়ের চোটে তিনি মাঠ ছেড়েছিলেন। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন। কেমন ছিল ওই মুহূর্তে তার মানসিকতা? সতীর্থের সঙ্গেই বা কী আলোচনা করছিলেন?

উইকেটে আলিসের সঙ্গী ছিলেন আরাফাত সানি। দুজনেই মূলত স্পিনার, ব্যাটিং তাদের কাজ নয়। চলতি বিপিএলে দুজনের অ্যাকশনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। মুশফিক হাসানের করা শেষ ওভারের প্রথম বলে বাউন্ডারি মারেন সানি। পরের দুই বল থেকে আসে আরও তিন রান। তৃতীয় বলেই সিঙ্গল নেওয়ার সময় পায়ে চোট পান আলিস। মাঠ ছেড়ে যেতে হয় তাকে।

নতুন ব্যাটার শরীফুল ইসলামের ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় সীমানার বাইরে। পরের বলেই তিনি আউট হয়ে যান। তাই চোট নিয়েই আলিসকে মাঠে নামতে হয়। শেষ বলে বাউন্ডারি মেরে তিনি হয়ে ওঠেন জয়ের নায়ক। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ১ উইকেট ও ৭ বলে ১৭ রানের ক্যামিও খেলে জিতে নেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। খেলা শেষে সানির সঙ্গে কথোপকথনের গল্প শোনান আলিস।

তার ভাষায়, ‘রান নিতে গিয়ে যখন চোটে পড়লাম, আমি যেহেতু দৌড়াতে পারব না, সানি ভাই বললেন যে, “যদি দৌড়াতে না পার, তাহলে বাইরে যাওয়াই ভালো হবে।” ওই সময় তিন বলে ৮ রান প্রয়োজন ছিল। তাই দ্রুত রান নেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথমে বললাম, “আমি চেষ্টা করি।” সানি ভাই বললেন, “দরকার নেই। কপালে থাকলে হবে। শরিফুলও মারতে পারবে।”

আলিস আরও বলেন, ‘শরিফুল প্রথম বলেই চার মারল। তখন আমাদের মাঝে বিশ্বাস ছিল যে, এই ম্যাচ আমাদের পক্ষে আছে। শেষ বলে আমি আবার যখন ফিরে এলাম, সানি ভাইকে বলছিলাম, “ভাই আসলেই দেখেন, কপালে যদি থাকে ছয় মেরে দেব।” সানি ভাই বলছিলেন যে, ছয় দরকার নেই, তুই চারই মার (হাসি)”। আমি আর সানি ভাই যখন ব্যাটিং করছিলাম, সানি ভাই আমাকে শুধু এই কথাটা বলছিলেন যে, “আলিস বিশ্বাস রাখ। তোর ব্যাটিং আমি দেখেছি। তুই পারবি”।’

 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত