সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

বিএনপির কমিটিতে ঠাঁই পেলেন আ. লীগ নেতা

আপডেট : ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম

জামালপুরের মেলান্দহে গোলাম মতিউর রহমান মুক্তা নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা বিএনপির কমিটিতে ঠাঁই পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করে ফের কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

গোলাম মতিউর রহমান মুক্তা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির এক নম্বর সদস্য পদ পেয়েছেন। তিনি ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নম্বর সদস্য ও টনকী জোবায়দা জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন। 

এর প্রতিবাদ জানিয়ে ওই ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা বলছেন, ৫ আগস্টের আগে ওই নেতাকে আওয়ামী লীগের মিটিং ও বিভিন্ন কার্যক্রমে দেখা গেছে। আবার ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেছেন বিএনপির নেতা। গা বাঁচাতে অনেকের মতো তিনিও আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপি যোগ দিয়েছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন, বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে থেকে সকল সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তা। সে কীভাবে এ কমিটিতে স্থান পেল। মুক্তাসহ গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিএনপি সেজে যারা দলে ঢুকে পড়েছে। সে সব আওয়ামী লীগ কর্মীকে প্রতিহত করতে হবে। গত ১৭ বছর থেকে বিএনপির ইউনিয়ন নির্যাতিত নেতাদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে পদ দিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি ঘোষণা করায় আমরা ক্ষিপ্ত। কমিটি থেকে তাকে বাদ দিয়ে ত্যাগী নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

কুলিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এটা তো ঠিক হয়নি। তাকে বহিষ্কারের জন্য হট্টগোল হচ্ছে। এরমধ্যে আমিও আছি। এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অনেক ত্যাগী সিনিয়র নেতারা কমিটি থেকে বাদ পড়েছে।

ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইদুর রহমান বলেন, ২০২১ সালের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে সদস্য করা হয়। কমিটি এখনো বলবৎ রয়েছে, বিলুপ্ত হয়নি। মানুষ তো আসলে বহুরূপী স্বার্থের জন্য এসব করে। এতদিন আওয়ামী লীগ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছে। এখন আবার বিএনপিতে। 

অভিযুক্ত গোলাম মতিউর রহমান মুক্তা বলেন, কেউ হয়ত আওয়ামী লীগের কমিটিতে নাম দিয়েছে, আমি তা জানি না। স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে তখন বাধ্য হয়েই আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে যেতে হয়েছে। আমি অনেক আগে থেকেই বিএনপি করি। 

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত বলেন, এ ধরনের কোনো কার্যক্রম হলে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের যদি কেউ অভিযোগ দেয় আর সেই অভিযোগ যদি প্রমাণিত হয় তাহলে যারা কমিটি দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত