বছর ঘুরে রমজানের বার্তা নিয়ে এসেছে পবিত্র শবে বরাত। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে সারা দেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের বড় অংশ এ রাতকে মহিমান্বিত রজনী হিসেবে পালন করেন। পবিত্র এ দিনটি উপলক্ষ্যে বাজারে বেড়েছে মাংসের চাহিদা, সেই সঙ্গে বেড়েছে দামও। বিশেষ করে চাহিদা বেশি থাকার সুযোগে বেড়েছে, গরু, মুরগি ও খাসির মাংসের দাম।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ টাকা কেজি দরে। শবে বরাতের দিন ৭৮০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০০ টাকা পর্যন্ত কেজি প্রতি গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে এক সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংসে দাম বেড়েছে সর্বনিম্ন ৩০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত।
অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগির দাম গত তিনদিন আগেও ছিল প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। এখন এক লাফে হয়েছে ২১০ টাকা। এক্ষেত্রে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা করে। এছাড়া প্রায় গত ছয় মাস ধরে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খাসির মাংস কেজি প্রতি বিক্রি হতো ১১০০ টাকা কেজি দরে। কিন্তু আজ হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরা খাসির মাংসের কেজি প্রতি দাম হাঁকাচ্ছেন ১১৫০ টাকা।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর দয়াগঞ্জ, শ্যামপুর, টিকাটুলি, গোপীবাগ ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
ক্রেতারা বলছেন, আজ পবিত্র শবে বরাত। এদিন মানুষ একটু ভালো খাওয়া-দাওয়া করতে চায়, সবাই কেনাকাটা করে। এজন্য ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। দুই দিন আগেও গরুর মাংস ৬৫০ টাকা কেজিতে এবং ব্রয়লার মুরগি ১৬৫ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছিল। এখন হঠাৎ দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।
দয়াগঞ্জ মার্কেটের মাংস ব্যবসায়ী আলামিন হোসেন বলেন, শবে বরাতের সময় মানুষ একটু বাসায় মাংস নিতে পছন্দ করে তাই বাড়তি দাম হলেও কিনে নিচ্ছে। এ ছাড়া খাসির মাংসের দামও ছিল ১১০০ টাকা করে। সেখানেও তারা ৫০ টাকা দাম বৃদ্ধি করেছে। তবে কিসের ভিত্তিতে ৫০ টাকা দাম বাড়িয়েছে এটার কোনো সঠিক উত্তর দিচ্ছে না।
গোপীবাগে ক্রেতা আতিকুল ইসলাম বলেন, কোনো বিশেষ দিন এলেই কিছু না কিছুর দাম বাড়ে। আজকে শবে বরাত, ভাবলাম মাংস কিনি। এসে দেখি কেজিতে ১০০ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের দাম বেশ সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে। আমদানি করা বড় আকৃতির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহেই এর দাম ছিল ৫০ টাকার ওপরে। বড় রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে, ছোট রসুন ৫০ টাকায়।
এ ছাড়া বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়। লাল ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকায়। মাঝারি দানার ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিতে, ছোলা ৭৮ টাকা কেজিতে। প্যাকেটজাত আটা ও ময়দার দামও স্থিতিশীল আছে। এগুলো যথাক্রমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।