মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

এতিম প্রতিপালনের সওয়াব

আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৫, ০৭:০১ এএম

রমজানকে বলা হয় সহমর্মিতার মাস। আর এতিমরা সহমর্মিতা পাওয়ার সবচেয়ে বেশি হকদার। তাই রমজান মাসে তাদের প্রতি একটু বেশি যত্নবান হওয়া দরকার। হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এতিমের যত্ন নিতে, এতিমের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে, সর্বোপরি এতিমের প্রতিপালন করতে বলেছেন। আর এর বিনিময় হিসেবে দুনিয়ায় কল্যাণ এবং পরকালে মহাসফলতার ঘোষণা করেছেন।

এতিম অসহায়দের লালন-পালনের ব্যয়ভার নেওয়া অত্যন্ত সওয়াবের কাজ। এতে রিজিক প্রশস্ত হয়। রমজান মাসে তাদের লালন-পালনের ব্যয়ভার নিলে অধিক সওয়াবের অধিকারী হওয়া যাবে। আর রিজিকে আসবে আরও প্রশস্ততা। পিতৃহীন নাবালেগ শিশু-কিশোরদের বলা হয় এতিম। দরিদ্র, অসহায়, দুস্থ ও এতিমদের জন্য ইসলাম সমাজের ওপর অনেক দায়িত্ব দিয়েছে। কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী, জাকাত-সদকা এতিম, মিসকিন ও গরিবদের অধিকার। জাকাতের আটটি খাতের মধ্যেও অসহায়, দরিদ্র ও এতিমরা শামিল রয়েছে।

রমজানের রহমত ও বরকত লাভের জন্য মুসলমানরা দেড় হাজার বছর ধরে এতিম প্রতিপালন, তার প্রতি আদর-স্নেহ ও মমতা প্রদর্শন করে এসেছে। মানুষ নিজের আত্মীয় এতিমকে বরকত, সওয়াব ও পরকালে নাজাতের আশায় নিজ পরিবারের সদস্যরূপে লালন করে। পবিত্র রমজানে এতিমদের সাহায্য-সহযোগিতা করার সওয়াব শত শত গুণ বৃদ্ধি পায়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর কাছে তার অন্তর কঠিন মর্মে অভিযোগ করল। রাসুল (সা.) তাকে বললেন, যদি তুমি তোমার অন্তর নরম করতে চাও তাহলে দরিদ্রকে খাবার খাওয়াও এবং এতিমের মাথায় হাত বুলিয়ে দাও। (মুসনাদে আহমাদ) হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, মিসকিনকে দান করায় একটি সওয়াব, আর আত্মীয়কে দান করায় দুটি সওয়াব হাসিল হয়। একটি দানের সওয়াব এবং অপরটি আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করার সওয়াব। (নাসায়ি)

এতিমের যতœ নেওয়া এবং এতিমকে লালন-পালন করা জান্নাতে যাওয়ার মাধ্যম। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, আমি ও এতিম প্রতিপালনকারী জান্নাতে এই দুই আঙুলের মতো পাশাপাশি অবস্থান করব। অতঃপর রাসুল (সা.) তার মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুলকে কাছাকাছি করে দেখালেন। (আবু দাউদ ৫১৫০)

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত