সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ২ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

জঙ্গি মামলা থেকে খালাস পেলেন বিএনপি নেত্রী শাকিলা ফারজানাসহ ২৫ জন

আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম

জঙ্গি সংগঠন ‘শহীদ হামজা ব্রিগেডকে’ অর্থায়ন ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ৯ বছর আগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে হওয়া একটি মামলায় বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ ২৫ জন আসামি খালাস পেয়েছেন। সোমবার (১০ মার্চ) চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু হান্নান এই রায় দেন।

ব্যারিস্টার শাকিলা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য। তিনি (শাকিলা) বিএনপির সাবেক হুইপ প্রয়াত সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সদস্য।

সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের সরকারি কৌঁসুলি আবদুস সাত্তার সরোয়ার বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন।’ 

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি হাটহাজারীর ঘটনায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেকটি মামলায় ব্যারিস্টার শাকিলাসহ ৩১ আসামিকে খালাস দেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারীর মাদ্রাসাতুল আবু বকর (র.)-এ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরদিন র‍্যাব-৭-এর সহকারী পরিচালক মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। এর দুদিন পর চট্টগ্রামের বাঁশখালীর লটমণি পাহাড়ে ‘জঙ্গিপ্রশিক্ষণকেন্দ্র’ থেকে বিপুল অস্ত্রসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭ ।

এর প্রায় দেড় মাস পর ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় র‍্যাব-৭-এর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হাটহাজারী ও লটমণি পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নেওয়া জঙ্গিরা চট্টগ্রামভিত্তিক নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘শহীদ হামজা ব্রিগেডের’ সদস্য।

২০১৫ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ তিন আইনজীবীকে। 

তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে দুই মামলায় শাকিলাসহ ৬১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় র‍্যাব-৭। 

দুটি মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, বাহরাইনের নাগরিক আল্লামা লিবদির নির্দেশে দেশে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে আসামিরা নতুন জঙ্গি সংগঠন গড়ে তোলেন। দেশে তাদের বড় ভাই ওরফে জুনাইয়েদ নামের একজন তাদের পরিচালনা করতেন। কিন্তু গ্রেপ্তার আসামিরা বড় ভাই সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য দিতে পারেননি। হামজা ব্রিগেডকে সামরিক, দাওয়াহ ও মিডিয়া নামের তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। সামরিক বিভাগকে হোয়াইট, ব্লু ও গ্রিন নামে ভাগ করেন। সামরিক বিভাগের প্রধান হলেন মনিরুজ্জামান ওরফে ডন, দাওয়াহ বিভাগের প্রধান নাছির হোসেন, মিডিয়া বিভাগের প্রধান মো. আবদুল্লাহ। জঙ্গিদের কাছে অস্ত্রগুলো বিক্রি করেন অস্ত্র ব্যবসায়ী মোজাহের মিয়া। জঙ্গি অর্থায়নের জন্য মনিরুজ্জামান ওরফে ডনের তিনটি হিসাব নম্বরে আইনজীবী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা দুই দফায় ২৫ লাখ ও ২৭ লাখ টাকা, হাছানুজ্জামান দুই দফায় ১৫ লাখ ও ১৬ লাখ টাকা, মাহফুজ চৌধুরী ২৫ লাখ জমা করেন। হাটহাজারী ও বাঁশখালী থানার দুই মামলায় ৬১ আসামির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত