কিডনি রোগ নিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা পৃথিবীতে কিডনি দিবস প্রতিপালিত হয়ে আসছে। এবারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল, ‘আপনার কিডনি কি ঠিক আছে? তাড়াতাড়ি শনাক্ত করুন, কিডনি স্বাস্থ্যরক্ষা করুন’। বিশে^র সর্বত্র কিডনি রোগের প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ৮৫ কোটি মানুষ কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত। বয়স্ক প্রতি দশজনের মাঝে একজন এ রোগের শিকার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল হলে সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। শারীরিক দুর্বলতা, অরুচি, ওজন হ্রাস কিংবা পায়ে পানি আসার মতো কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, যা অন্য অনেক রোগের ক্ষেত্রেও হতে পারে। তবে বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে, যা সরাসরি কিডনি বা মূত্রতন্ত্রের রোগ নির্দেশ করে।
মূত্র হ্রাস
দৈনিক ৪০০ মিলিলিটারের চেয়ে কম মূত্র তৈরি হওয়া বিপজ্জনক। ডায়রিয়া, বমি কিংবা অন্য কোনো কারণে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হলে যদি এমন অবস্থা তৈরি হয় তাহলে মনে করতে হবে কিডনি বিকল হয়ে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত মূত্র
দৈনিক তিন লিটারের বেশি মূত্র উৎপাদন হলে সেটাও ভাবনার বিষয়। কিডনি রোগ ছাড়াও অবশ্য ডায়াবেটিস, রক্তে ক্যালসিয়ামের আধিক্য এবং অতিরিক্ত পানি পান করার ফলে এমনটি হতে পারে।
মূত্রের অন্যান্য সমস্যা
প্রস্রাবে জ¦ালা যন্ত্রণা : যা মূত্রনালি, মূত্রথলি এমনকি কিডনির ইনফেকশন নির্দেশ করে।
রাতে অতিরিক্ত প্রস্রাব হতে পারে প্রোস্টেট গ্রন্থি স্ফিত হয়ে যাওয়ার কারণে।
প্রস্রাবের নিয়ন্ত্রণহীনতা হতে পারে স্নায়ুবিক বৈকল্য, ইনফেকশন কিংবা ডায়াবেটিসের কারণে।
প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত মিশে থাকা কিংবা প্রস্রাবের সঙ্গে অতিরিক্ত প্রোটিন বের হয়ে যাওয়া কিডনি রোগের নির্দেশক হতে পারে।
৪. কটিদেশে ব্যথা : হতে পারে কিডনির পাথর কিংবা অন্য জটিলতার কারণে।
দেহে পানি চলে আসতে পারে কিডনি বিকল হলে। তবে অন্য আরও ব্যাধিতে এমনটি হতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ : অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপ প্রথম ধরা পড়ে কিডনি বিকল হওয়ার কারণে। কিডনি বিকল হলে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সময় কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। ওপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিডনির অবস্থা কেমন জেনে নিন।