বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

শিক্ষা পরামর্শ

সফলতা আমাদের কাছে যা চায়

আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৩ এএম

সফল তো আমরা সবাই হতে চাই। কিন্তু সফলতাও আমাদের কাছে কিছু চায়। যারা সফলতার এই চাহিদা পূরণ করতে পারে তারাই সফল হয়। সফলতার চাওয়াগুলো নিয়ে লিখেছেন এজাজ পারভেজ

কঠোর পরিশ্রম

সফলতা প্রত্যাশী কোনো ব্যক্তির কাছে সফলতার প্রথম প্রত্যাশা হলো, কঠোর পরিশ্রম। যে ব্যক্তি পরিশ্রম করে না সে কখনো সফলতা লাভ করতে পারে না। ইদানীং অনেকে বলেন, স্মার্ট ওয়ার্কের কথা। কঠোর পরিশ্রমের মাঝে স্মার্ট ওয়ার্কের কথাটিও রয়েছে। দিনের পরে দিন একটি কাজ করতে থাকলে সেই কাজটি সবচেয়ে কম সময়ে ও কম পরিশ্রমে কীভাবে করা যাবে সে সম্পর্কে জানা হয়ে যায়। জানা হয়ে যায়, একই কাজ বিভিন্ন উপায়ে করার পদ্ধতি। ফলে সময় ও পরিস্থিতি অনুযায়ী যখন যেমন দরকার তেমনভাবে কাজটি করার দক্ষতা অর্জিত হয়। এই দক্ষতাই একজন ব্যক্তিকে সফলতা এনে দেয়।

ধৈর্য

সফলতা তারপর আমাদের কাছে যে জিনিসটা চায় তা হলো, ধৈর্য। শুধু কঠোর পরিশ্রম করলেই হবে না, ধৈর্য ধরে অনুশীলন করে যেতে হবে। প্রতিটি ফসল কাটার যেমন একটি নির্দিষ্ট সময় আছে, প্রতিটি ফল পাকার যেমন একটি নির্দিষ্ট সময় আছে, তেমনি কাজে সাফল্য লাভেরও একটি সময় আছে। সেই সময় পর্যন্ত ধৈর্য ধরে পরিশ্রম করে যেতে হবে।

হাল ছেড়ে না দেওয়া

লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজে নামার পর কিছুদিন পরিশ্রম করে হাল ছেড়ে দেওয়া কোনো কাজের কথা নয়। সফলতা তারই করায়ত্ত হয়, যে হাল ছেড়ে দেয় না, দাঁতে দাঁত চেপে পরিশ্রম করে যায়।

নিয়মানুবর্তিতা

ব্যক্তিজীবনে শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতার প্রয়োজনীয় অপরিসীম। একদিনে দশ ঘণ্টা পড়া আর আরেকদিন একদমই না পড়ার থেকে প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা করে পড়া বেশি কার্যকর। নিয়মিত কোনো কাজ করলে তা শরীরী ছন্দের সঙ্গে একীভূত হয়ে যায়। ফলে দ্রুত মনোযোগ আসে, সেই কাজ করতে কম আলস্য লাগে, পরিশ্রমের অনুভূতি অনুভূত হয় না। সফলতা লাভের জন্য নিয়মানুবর্তিতা তাই অপরিহার্য।

আত্মবিশ্বাস

কোনো কাজে নেমে হাল ছেড়ে দেওয়া বা লোকের কথায় প্রভাবিত হয়ে নিজের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটে যখন কারও মধ্যে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকে। তবে চর্চার মাধ্যমে এই অভাব পূরণ করা যায়। যেমন কোনো কাজ যদি প্রথম দেখাতে কঠিন মনে হয় তাহলে সেটি ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন। তাহলে কাজ করা যেমন সহজ হবে, তেমনি এই খণ্ডিত কাজগুলো করতে আপনাকে আর কতটুকু পরিশ্রম করতে হবে তাও বুঝতে পারবেন। পুরো বিষয়টি সম্পর্কে যখন আপনার পূর্ণ ধারণা থাকবে তখন স্বভাবতই আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন। আত্মত্যাগ

সফলতা আরও যা চায় তা হলো, আত্মত্যাগ। মনে করো, বাসা থেকে স্কুলে যাবে। তুমি যদি বাসা ত্যাগ না করো তাহলে কি স্কুলে যেতে পারবে? পারবে না। তেমনি আলস্য ত্যাগ না করলে কাজ করতে পারবে না, সকালের ঘুম ত্যাগ না করলে মর্নিংওয়াকে যেতে পারবে না, ফাস্টফুড খাওয়ার লোভ ত্যাগ না করলে সুস্বাস্থ্য পাবে না। তেমনিভাবে যদি, সফলতার পথে তোমার যে অভ্যাসগুলো বাধা সৃষ্টি করছে সেগুলো ত্যাগ না করলে সফলতা লাভ করতে পারবে না। তাই সফলতা চায় তোমার এই আত্মত্যাগ। 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত