বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ব্যবসায়ী তাহসিন হত্যা

৭ দিনের রিমান্ডে চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ

আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম

ইট-বালু ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসিন (২৬) হত্যা মামলায় চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনকে ৭ দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত। রবিবার (১৬ মার্চ) বেলা আড়াইটার দিকে চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই আদেশ দেন। সিএমপির প্রসিকিউশন শাখার দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ফেসবুক লাইভে এসে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসিকে পেটানোর হুমকি দিয়ে আলোচনায় আসে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ।

শনিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানী ঢাকার শপিং মল বসুন্ধরা সিটি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামি থানাসংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে।  

গত বছরের ২১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরের চান্দগাঁও থানার শমসের পাড়ায় একটি মাইক্রোবাসে করে এসে চার অস্ত্রধারী ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসিনকে গুলি করে হত্যা করে। তাহসিন ইট ও বালুর ব্যবসা করতেন।

এ ঘটনায় ২৪ অক্টোবর চান্দগাঁও থানায় নিহত তাহসিনের বাবা একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে সাতদিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ রবিবার পুলিশকে অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

এর আগে এই হত্যা মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।  

সন্ত্রাসী সাজ্জাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, ২০২৩ সালের ২৮ জানুয়ারি বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে মাসুদ কায়সার ও মোহাম্মদ আনিস নামে দুজনকে। ২০২৩ সালের ৫ জুলাই বায়েজিদ থানার বুলিয়াপাড়া এলাকায় বাসায় ঢুকে গুলি চালানো। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর চান্দগাঁও হাজীরপুল এলাকায় ঠিকাদার মো. হাসানের বাসায় গুলি। ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর অক্সিজেন মোড়ে পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়া।

পুলিশ জানায়, সাজ্জাদ হোসেন বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত আরেক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১৫টি মামলা রয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে সিএমপি।

গত বছরের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা-পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। পরের মাসের শুরুতে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। গত বছরের ৪ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন এলাকায় পুলিশ ধরতে গেলে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান তিনি। এতে পুলিশসহ পাঁচজন আহত হন। সবশেষ গত ২৯  জানয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি আরিফুর রহমানকে পেটানোর হুমকি দেন। পরদিন সাজ্জাদকে ধরতে নগর পুলিশ কমিশনার পুরস্কার ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত