কুয়েতে প্রায় ৪২ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে, যা দেশটির জন্য একটি নীতিগতভাবে বড় পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। গত ডিসেম্বরে একটি আইন সংশোধনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব বাতিলের এখতিয়ার আরও প্রসারিত করা হয়েছে। নতুন সংশোধনীতে বলা হয়েছে, নৈতিক দুর্নীতি বা অসততা অথবা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ কার্যকলাপের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব বাতিল করা যাবে। গত সেপ্টেম্বর থেকে এই আইন কার্যকর হয়েছে। ৮৪ বছর বয়সী আমির মিলাশ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবহ কুয়েতের নতুন শাসক। তবে তিনি দেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বেশ কর্র্তৃত্ববাদী পথে এগোচ্ছেন। গত বছরের ১০ মে সংসদ স্থগিত করেন এবং সংবিধান সংশোধনের ঘোষণা দেন তিনি। তার দাবি, কয়েক দশক ধরে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কুয়েতকে পঙ্গু করে রেখেছে। এই উদ্যোগের সমালোচনা করায় বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা ও ধরপাকড়ের অভিযোগ রয়েছে।