চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি কন্টেইনারবাহী ট্রেনের দুটি বগি কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশের সময় লাইনচ্যুত হওয়ায় ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। এ ঘটনায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা ঢাকামুখী এবং দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঢাকা থেকে ছাড়ার ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। গতকাল বুধবার কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. শাহাদাত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
কমলাপুরের স্টেশনমাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বেলা সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে আসা ৬০৫ নম্বর কনটেইনার ট্রেনের শেষের দুইটা ক্যারেজ লাইনচ্যুত হয়। খিলগাঁও রেলগেট পার হয়ে স্টেশনে প্রায় ঢুকে গেছে এমন সময় পেছনের দুটি ট্রলি লাইনচ্যুত হয়।
কমলাপুর স্টেশনের ব্যবস্থাপক মো. শাহাদাত জানিয়েছেন, কনটেইনার ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় ঢাকা থেকে বের হওয়ার এবং প্রবেশের পথ বন্ধ ছিল। এর মধ্যে বেলা ১টা ১০ মিনিটে আপলাইন (কমলাপুর থেকে বের হওয়ার লাইন) ক্লিয়ার করা হয়। আর বেলা দুইটায় ডাউন লাইন (ঢাকায় প্রবেশের লাইন) ক্লিয়ার করা হয়।
দাবি না মানলে ঈদযাত্রার দিন থেকে কর্মবিরতির হুমকি : চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত গেটকিপার ও গেটম্যানরা । দাবি মানা না হলে আসন্ন ঈদযাত্রার দিন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে রেলপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচিরও ঘোষণা দেওয়া হয়। গতকাল বুধবার রেলভবনের সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে আন্দোলনকারীরা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। গত বছরের ১৮ আগস্ট রেলভবনে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে রেলসচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালক, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রতিনিধি ও সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রেলওয়ের মহাপরিচালক গেটকিপার ও গেটম্যানদের চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি যুক্তিসঙ্গত বলে স্বীকার করেন এবং দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু দীর্ঘ আট বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও এখনো তাদের চাকরি স্থায়ীকরণের কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি।
আন্দোলনকারীদের দাবি, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অনুমতি থাকায় তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে কোনো আইনি জটিলতা নেই।
তারা বলেন, ১৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রেলের প্রচলিত বিধি অনুযায়ী, কোনো কর্মচারী তিন বছর নিরবচ্ছিন্ন চাকরি করলে তার চাকরি স্থায়ীকরণ করা সম্ভব। অথচ আমাদের দীর্ঘ আট বছর অপেক্ষায় রাখা হয়েছে। আসন্ন ঈদযাত্রার সময় ২৪ মার্চ থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনকারীরা জানান, এ সমস্যার সমাধান না হলে রেলপথ অবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে।