চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচ থেকে বস্তাবন্দী নারীর লাশ উদ্ধার ঘটনা একদিনেই কিনারা করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় ওই নারীকে হত্যার অভিযোগে নয়ন বড়ুয়া (২৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে চান্দঁগাও থানার মোহরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নয়ন বড়ুয়া রাউজান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গহিরা এলাকার জয় কুমার বাড়ির মৃত মিলন বড়ুয়ার ছেলে। কেডিএস গার্মেন্টসের সুপারভাইজার পদে কর্মরত এই যুবক দুই ছেলে সন্তানের জনক। তাদের নিয়ে গ্রামে থাকেন স্ত্রী।
পিবিআই জানায়, হত্যার পর গুম করতেই লাশ কম্বল পেঁচিয়ে বস্তাবন্দী করে ফেলে রেখে যায় ঘাতক নয়ন বড়ুয়া। গত শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে জ্যোৎস্না বেগম নামে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে খুলশী থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই’র পরিদর্শক মোস্তাফিজুর জানান, ভিকটিমের নাম জোৎস্না বেগম। তিনি একজন পোশাকশ্রমিক। এ ঘটনায় নগরের খুলশী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন তার বড় বোন তৈয়বা বেগম।
জানা গেছে, ভিকটিম জোৎস্না বেগম ও আসামি নয়ন বড়ুয়া দুজনেই নগরের কাপ্তাই রাস্তার মাথায় কেডিএস গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। কর্মস্থলে পরিচয় সূত্রে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে যান। পরে তারা ফেব্রুয়ারি মাসে নগরের ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার আয়েশা মায়ের গলির কামাল ম্যানসনের নিচতলায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক কক্ষের বাসা ভাড়া নেয় এবং একই সাথে রাত্রিযাপন শুরু করেন। পরে ভিকটিম জোৎস্না বেগম আসামি নয়ন বড়ুয়াকে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করার জন্য চাপ দিলে নয়ন বড়ুয়া তাতে অস্বীকৃতি জানান।
গত শনিবার (২২ মার্চ) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে ঝগড়ার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে জ্যোৎস্না গলাটিপে হত্যা করে নয়ন বড়ুয়া। হত্যার পর জ্যোৎস্না বেগমের লাশ কম্বল পেঁচিয়ে দড়ি ও ওড়না দিয়ে বেঁধে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে রিকশা ও অটোরিকশাযোগে লালখানবাজার এনে এক্সপ্রেসওয়ের নিচে ফেলে দিয়ে পালিয়ে নয়ন বড়ুয়া।