হোয়াইট হাউজে প্রত্যাবর্তনের পর চীন-কানাডা-মেক্সিকোর ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্কারোপের ফলে এখন চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পর পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে চীনও। তাতে বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির দেশের মধ্যে নতুন করে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে। দুই পরাশক্তির এই শুল্ক যুদ্ধের মধ্যে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।
চীনা প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, বেইজিংয়ে মার্কিন সিনেটর স্টিভ ডেইন্স এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।
লি কিয়াং বলেছেন, চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র শান্তি স্থাপন করলে উভয় দেশই লাভবান হবে। এমনকি চীন এবং আমেরিকা যুদ্ধ করলে উভয়েই হেরে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। লি কিয়াং আরও বলেন, সংঘর্ষের পরিবর্তে আমাদের সংলাপ এবং সহযোগিতার পথ বেছে নেওয়া উচিত। আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের সুস্থ, স্থিতিশীল এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করবে চীন এবং আমেরিকা। এ সময় বাণিজ্য প্রসঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, চীন সর্বদা যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের প্রতিষ্ঠানগুলোকে চীনা ভূখণ্ডে স্বাগত জানায়। তাদের বৈধ দাবিগুলো সক্রিয়ভাবে পূরণ করার পাশাপাশি দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোকে সমানভাবে বিবেচনা এবং একটি সুস্থ ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে তুলবে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর স্টিভ ডেইন্স বলেন, ১৯৯১ সালে চীনের অর্থনীতি প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার বা তারও কিছু বেশি ছিল। তবে গত ৩৪ বছরে আমরা চীনের বৃদ্ধি এবং পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। ভবিষ্যতে উভয়পক্ষের মধ্যে আরও উচ্চস্তরের সংলাপের আশা প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প সমর্থক ডেইন্স। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক নির্বাহীদের সঙ্গে বেইজিংয়ে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক চীন উন্নয়ন ফোরাম ২০২৫-এ যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী লি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য চীনের বাজারে প্রবেশের সুযোগ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।