সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

দ. কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ১২:২৩ এএম

দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত অভিশংসিত প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সুকে দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনর্বহাল করেছেন। গতকাল সোমবার সাংবিধানিক আদালতের বিচারকরা সাত-এক ভোটে হানের অভিশংসন বাতিলের রায় দেন। আদালতের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী আটজন বিচারকের মধ্যে পাঁচজন জানান, অভিশংসনের প্রক্রিয়া বৈধ ছিল, কিন্তু হান সংবিধান বা আইন লঙ্ঘন করেননি বিধায় তাকে অভিশংসিত করার মতো যথেষ্ট অভিযোগ ছিল না। শুধু একজন বিচারক হানকে অভিশংসিত করার পক্ষে রায় দেন।

ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল হঠাৎ করে সামরিক আইন জারির ঘটনায় অভিশংসিত হয়ে ক্ষমতা হারান। তখন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা হান অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন। কিন্তু সাংবিধানিক আদালতে বিচারক নিয়োগ নিয়ে বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়লে তিনিও অভিশংসিত হন। মরিক আইন জারির আদেশটি এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গভীর রাজনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত করে। শীর্ষ কর্মকর্তারা একের পর এক অভিশংসন, পদত্যাগ ও ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ায় দেশটিতে নেতৃত্ব শূন্যতা তৈরি হয়। আদালতের রায়ের পর হান বলেন, ‘সাংবিধানিক আদালতের এই প্রাজ্ঞ সিদ্ধান্তে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।’

৭৫ বছর বয়সী হান তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার পাঁচজন রক্ষণশীল ও উদারনৈতিক প্রেসিডেন্টের অধীনে নেতৃস্থানীয় পদে ছিলেন। তবে এখনো বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যাচ্ছে যে তিনি ইউনের সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত আটকাতে যথেষ্ট চেষ্টা করেননি। কিন্তু হান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ইউন ও হানের বিরুদ্ধে অভিশংসন মামলা সাংবিধানিক আদালতের বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় অর্থমন্ত্রী চোয়ি সান মোক দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। আদালত গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ইউনের ভাগ্য নিয়ে বিচার-বিবেচনা করছে এবং কয়েক দিনের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত