মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে পালিয়ে গিয়ে ভারতে অবস্থানকারী শেখ হাসিনা জোর করে, রায় দিয়ে, রাইফেল দিয়ে ইতিহাস পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু পারেননি। ছাত্ররা প্রকৃত ইতিহাস জেনে জুলাই অভ্যুত্থানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দেশে স্বৈরাচার আসলে টিকে থাকতে পারে না। দূরে থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করে গেছেন নেতৃত্বের মাধ্যমে।’
গতকাল সোমবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ তথ্য জানান।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২৬ মার্চ ভোর ৬টায় নয়া পল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী সব দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের কার্যালয় থেকে দলের জাতীয় নেতারাসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীর জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে যাত্রা এবং সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ঢাকায় ফিরে স্বাধীনতার ঘোষক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের মাজারে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সুরা ফাতেহা পাঠ করবেন। ওইদিনই মাজার প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির জাতীয় নেতারাসহ দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখবেন। এছাড়া সারা দেশে জেলা, মহানগর, উপজেলা, পৌরসভাসহ সব ইউনিট মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করবে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ নিজ উদ্যোগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করবে। দেশব্যাপী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সব ইউনিটের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে কর্মসূচি সফল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এ সময় রিজভী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এই লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে ব্যক্তিগত সম্পদ মনে করত। স্বাধীনতার পর থেকে এরা শুরু করেছে লুটপাট, অপকর্ম। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল মানুষের জীবন। স্বাধীন বাংলাদেশকে অপশাসনের কবজায় নিয়ে ত্রাসের কায়েম করেছিল। জিয়ার সময় মানুষ ঘরের দরজা খুলে ঘুমাত। এখনকার মতো বিদেশি কিছু এজেন্ট চক্রান্ত করত না।’