ইয়েমেনে সামরিক হামলার পরিকল্পনাবিষয়ক একটি গোপন আলোচনা ফাঁস হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে ওই সংক্রান্ত আলোচনা গ্রুপ চ্যাটে ভুল করে এক সাংবাদিককে যুক্ত করা হয়েছিল, যা সবার নজর এড়িয়ে যায়। হোয়াইট হাউজ বিষয়টি নিশ্চিত করার পর, ট্রাম্প প্রশাসন রাজনৈতিক সমালোচনার মুখে পড়েছে। সিগন্যাল গ্রুপ চ্যাটে যুক্ত করা ওই সাংবাদিক দ্য আটলান্টিক ম্যাগাজিনের সম্পাদক জেফরি গোল্ডবার্গ। দ্য আটলান্টিকে নিজের কলামে ঘটনাটির বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন সংবাদমাধ্যমটির এডিটর ইন চিফ জেফরি গোল্ডবার্গ। তিনি বলেন, ‘১৫ মার্চ ইস্টার্ন টাইম জোনে দুপুর ২টার কিছুক্ষণ আগে সারা বিশ্ব জানতে পারে, ইয়েমেনের বিভিন্ন অংশে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে আমি প্রথম বোমাটি বিস্ফোরিত হওয়ার দুই ঘণ্টা আগেই এই হামলার বিষয়টি জেনে যাই। আমি এটা জানতে পেরেছিলাম, কারণ বেলা ১১টা বেজে ৪৪ মিনিটে প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ আমাকে তার যুদ্ধ পরিকল্পনা টেক্সটের মাধ্যমে জানিয়ে দেন। ওই পরিকল্পনায় অস্ত্র প্যাকেজ, লক্ষ্যবস্তু ও হামলার সময়সীমার নিখুঁত ও সুনির্দিষ্ট তথ্য ছিল’ বলে যোগ করেন তিনি।
গোল্ডবার্গ আরও জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের কাছ থেকে একটি সংযোগ অনুরোধ পাওয়ার পর হুতি পিসি স্মল গ্রুপ নামক একটি সিগন্যাল চ্যাটে যুক্ত হন। সম্ভবত ভুলবশত এই অনুরোধটি আসে। পরে পিবিএসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটি ভালো যে তারা ভুল করে হুতিদের সমর্থক এমন কারও ফোন নম্বর বেছে নেয়নি। কারণ তারা এমন তথ্য ভাগ করে নিচ্ছিলেন, যা আমার বিশ্বাস, অভিযানে যুক্ত সেনাদের জীবন বিপন্ন করতে পারত।
গোল্ডবার্গ জানান, তিনি দেখতে পান, ১৮ সদস্যের এই গ্রুপ চ্যাটে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ, সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ, জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিভিন্ন সংস্থার শীর্ষ জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।