শরীয়তপুরের জাজিরায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের হাতবোমা ফাটিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় জাজিরা থানা পুলিশ বাদী হয়ে ৮৮ জনের নাম উল্লেখ ও ৮০০ থেকে ১০০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছে। রোববার (৬ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এই মামলাটি করেন থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় দাস।
এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কুদ্দুস বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব -৩। তাকে বরিশাল নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়ন থেকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে নিশ্চিত করে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, বিলাসপুরের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা করেছে। মামলার ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কুদ্দুস বেপারী ও বিলাসপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এই নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে দুই পক্ষ। শনিবার সকালে ইউনিয়নের আহসানুল্লাহ মুন্সীকান্দি ও বিলাসপুর এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এসময় দুই পক্ষের ১৬ জন আহত হন। এছাড়া দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।