দীর্ঘ ৮ বছরেও কুড়িগ্রাম পৌর এলাকার একটি ব্রিজ মেরামতের অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। প্রতিদিনই জানমালের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ,পারাপার হচ্ছে যানবাহন। ওই ব্রিজের সংযোগ সড়ক মেরামতের দাবিতে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও দাবি পুরণ হয়নি এলাকাবাসীর।
সরেজমিন দেখা গেছে, নেই ব্রিজের সংযোগ সড়ক। কাট ও বাঁশ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে বানানো হয়েছে পাটাতন। তারই উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ,পারাপার হচ্ছে যানবাহন। এতে প্রায় সময় ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। এমন চিত্র কুড়িগ্রাম পৌরসভার টাপু ভেলা কোপা এলাকার ৬ নম্বর ওর্য়াডের হানাগড়ের মাথা ব্রিজের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১১-১২ অর্থ বছরে টাপু ভেলা কোপা এলাকায় দুই পারের মানুষের কষ্ট লাঘবে নির্মাণ করা হয় ১৭ মিটার দৈর্ঘ্যের ওই ব্রিজ। পিচডালা সড়কসহ এতে ব্যায় হয় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
পরে এলাকাবাসীর কিছুটা দুর্ভোগ কমলেও আবারও ২০১৭ সালে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্রিজটির সংযোগ সড়ক। পরে স্থানীয়রা দীর্ঘ ৮ বছর ব্রিজটি সংস্কারে ব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও সুফল পায়নি। উপায় না দেখে স্থানীয় লোকজন বাঁশ ও কাট দিয়ে পাটাতন তৈরি করে যাতায়াত সচল রাখলেও ঘটছে দুর্ঘটনা।
স্থানীয় ওয়াহেদ আলী বলেন, ব্রিজটির সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। সময় মতো জরুরী রোগীকে নেয়া যাচ্ছে না হাসপাতালে। এরপরেও ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারও মানুষ।
পারভেজ নামে আর একজন বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে আমরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছি। যাতায়াত করতে অনেকে পড়ে গিয়ে আহতও হচ্ছে। এখন কোনরকমে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে ব্রিজটি। বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেও আমরা সুফল পাইনি।
এদিকে বর্ষা মৌসুমের আগে ব্রিজটির সংযোগ সড়ক সংস্কার করে নির্বিঘ্নে চলাচল সচল রাখার দাবি পথচারীসহ স্থানীয়দের।
কুড়িগ্রাম পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান জানান, জনদুর্ভোগ কমাতে ব্রিজটির সার্ভে কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের কাজ করা হবে।