বাংলাদেশের ডাকে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন কিউবা মিচেল। যুক্তরাষ্ট্র বংশোদ্ভুত এই বাঙালি ফরোয়ার্ডকে শনিবার জাতীয় দলে খেলতে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তার এজেন্ট রবিবার বিকেলে ফিরতি চিঠিতে কিউবার খেলার ইচ্ছের কথা জানিয়েছে পরবর্তী প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান। যিনি ১৯ বছরে পা রাখা কিউবার বাংলাদেশে খেলার বিষয়টি শুরু থেকে দেখছেন। 'ওর এজেন্ট আজ ফিরতি মেইলে পরবর্তী প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। যেহেতু ও ইংল্যান্ডের হয়ে কোন পর্যায়ে খেলেনি, তাই বাংলাদেশী পাসপোর্ট করাতে পারলেও দ্রুতই ওকে জাতীয় দলে খেলানো যাবে। আমরা জুনে ঢাকায় এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে ওকে খেলানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। অচিরেই এ সব কিছু নিয়ে আলোচনা করতে ন্যাশনাল টিম ম্যানেজমেন্ট কমিটি সভায় বসবে।'
কিউবার ব্যাপারে ভীষণ আশাবাদী ইমরুল হাসান আরও বলেন, 'ও কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ বছর বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। তাছাড়া ফরোয়ার্ড লাইনে আমাদের ঘাটতি রয়েছে। সে যেহেতু ১০ নম্বর পজিশনে খেলে, আমার মনে হয় তার সংযুক্তিতে জাতীয় দলের ফরোয়ার্ডলাইনের শক্তি বাড়বে।'
রবিবার বিকেলে বাফুফের সাধারণ সম্পাদকের কাছে ফিরতি মেইল করেন ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ প্রিমিয়ার লিগে সান্দারল্যান্ডের হয়ে খেলা মিচেলের এজেন্ট বেন মার্কেল।
চিঠিতে তিনি লিখেন, 'আমি নিশ্চিত করছি যে কিউবা এই বিষয়টি নিয়ে এগিয়ে যেতে আগ্রহী এবং জুনের খেলায় অংশ নিতে চায়। তাই তার খেলার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো এগিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করলে সে কিরকম আর্থিক সুবিধা পাবে, সেটা জানানোর অনুরোধ করছি।'
চিঠিতে বেন উল্লেখ করেন, কিউবা চায় ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচটির সময় যাতে তিনি নিজেও ঢাকায় থাকেন। তার ঢাকায় আসার ব্যাপারটি দেখভালের অনুরোধও বাফুফেকে জানান বেন।
জাতীয় দলে প্রতিনিধিত্ব করা ফুটবলারদের সেভাবে সম্মানী দেওয়ার সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি বাংলাদেশে। নামকাওয়াস্তে একটা অঙ্ক দেওয়া হয় ফুটবলারদের। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীকেও সেভাবে বাড়তি কোন আর্থিক সুবিধা দেয়নি বাফুফে।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের হয়ে খেললে আর্থিক সুবিধা কিউবা মিচেলও সেভাবে পাবেন না। তবে আসা-যাওয়ার বিমান টিকিট, পাঁচ তারকা মানের হোটেলে থাকা-খাওয়াসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা যা অন্য সব ফুটবলার পেয়ে থাকেন, সেটা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে বাফুফের পক্ষ থেকে।