২০১৫ সালে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শিবিরের তৎকালীন সভাপতি মো. শাহাবুদ্দিন পাটোয়ারীকে ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন শাহাবুদ্দিন পাটোয়ারীর পিতা জয়নাল আবেদীন পাটোয়ারী।
মামলার আসামিরা হলেন- তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার চক্রবর্তী, তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান হাওলাদার, মো. ইব্রাহিম, তৎকালীন ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ কামাল, মো. শহীদ, তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম থানার কনস্টেবল মো. নুর হোসেন, মহসিন মিয়া, আবু নাছের, শশাংক চাকমা, তৎকালীন এসএএফ শাখার স্টাফ শরিফুল ইসলাম, মো. মোতাহের হোসেন, তৎকালীন চৌদ্দগ্রাম থানার আনসার মুরাদ হোসেন।
মামলার বাদী পক্ষের অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে সাবেক রেলপথমন্ত্রী ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক সংসদ সদস্য মো. মুজিবুল হক মুজিবের নির্দেশনায় অমানবিকভাবে মায়ের সামনে থেকে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ সাদা পোশাকে শাহাবুদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশ হেফাজতে মানুষ নিরাপদ থাকার কথা। কিন্তু সেটা না করে ওইদিন রাতেই তাকে ক্রসফায়ারের নামে মাথায় গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। পরদিন ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্বজনদের কাছে তার লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। পরে তাকে পারিবারিকভাবে দাফন করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ওই সময় পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে ভুক্তভোগীর পরিবার মামলা দায়ের করেনি। মঙ্গলবার দুপুরে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু আইন-২০১৩ এর ১৩ (১)(২)/১৫(২) ধারায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে নিহতের পরিবারের হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী রবিবার মামলাটি শুনানির আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট। আমরা মামলার আসামিদের সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।