বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

মিরাজের ১০ উইকেট বিফলে, সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের জয়

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম

১৭৪ রানে তাড়া করতে নেমে কিছুটা হোঁচট খেলেও লক্ষ্য ছুঁয়েছে জিম্বাবুয়ে। ৩ উইকেটে সিলেট টেস্ট জিতে নিয়ে চার বছরের জয়খরা কাটিয়েছে দেশটি। ২০২১ সালের মার্চে আবুধাবিতে আফগানদের হারিয়ে সবশেষ টেস্টে জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। এর পর ১০টি টেস্ট খেলে তিনটিতে ড্র করলেও জয় ছিল সোনার হরিণ। সবশেষ ঘরের মাটিতে আফগানিস্তান কিংবা আয়ারল্যান্ডকে হারাতে না পারা দেশটির কাছেই বাজে ব্যাটিংয়ের মহড়া সাজিয়ে হার মানতে হলো নাজমুল হোসেন শান্তদের। ২০১৮ সালের নভেম্বরে এই সিলেটেই বাংলাদেশকে হারিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। সাড়ে ছয় বছর পর একই মাঠে আবার গৌরবগাঁথা লিখলেন এরভিন-উইলিয়ামসরা। 

চতুর্থ দিনে নিজেদের শেষ ইনিংসে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৯৫ রান তুলে ফেলেছিলেন জিম্বাবুয়ের ওপেনাররা। এরপরই বাংলাদেশের দুই স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম চেপে ধরেন অতিথিদের। ৬৬ রানের মধ্যে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে জমিয়ে তোলেন ম্যাচ। এর মধ্যে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট শিকারী মিরাজ। তাইজুল নিয়েছেন ২ উইকেট। ম্যাচে এখন পর্যন্ত ১০ উইকেট নেয়া মিরাজের ক্যারিয়ার শিকার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০০। এটি তার তৃতীয়বার ম্যাচে দশ উইকেট শিকার, ১২তম ফাইফার। সাকিব আল হাসান ও তাইজুলের পর বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে ২০০ টেস্ট উইকেট শিকার করলেন মিরাজ।

আজ ২১তম ওভারে মিরাজ প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন। ৭৫ বলে ৪৪ রান করে বেন কারেন ক্যাচ দেন মিড অফে। ৫ ওভার পর তাইজুল ১০ রান করা ওয়েলচকে করেন এলবিডব্লু। তখন জিম্বাবুয়ের স্কোর ১১২। জয়ের জন্য দরকার আরো ৬২ রান। ২ উইকেটে ১১৭ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে। বিরতির পর তৃতীয় ওভারেই আবার উইকেট এনে দেন মিরাজ। তার লাফিয়ে ওঠা বল শন উইলিয়ামসের ব্যাট হয়ে ওপরে উঠে গেলে কাভার পয়েন্টে সহজ ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত (১৩ বলে ৯)। নিজের পরের ওভারে আবার উইকেট মিরাজের। তার বল সামনে এগিয়ে খেলতে গিয়ে লং অনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন ৮১ বলে ৫৪ রান করা ব্রায়ান বেনেট। 
 
এরপর বৃষ্টিতে কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকার পর আবার শুরু হলে তাইজুল আঘাত হানেন। অধিনায়ক ক্রেইগ এরভিনের ব্যাট ছুঁয়ে যাওয়া বল উইকেটকিপার জাকের আলী ধরে ক্যাচের আবেদন জানালেও আম্পায়ার তা দেননি। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। আল্ট্রা এজে দেখা যায়, সত্যিই লেগেছে বল আরভিনের ব্যাটে। পঞ্চম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। 

ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মিরাজ পরের ওভারে। তার অফ স্পিনে এবার শিকার নিয়াশা মায়াভো। আগের ওভারে এরভিন আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ তুলেছিলেন, কিন্তু জাকির হাসান ধরতে না পারায় বেঁচে গিয়েছিলেন। এবার বোল্ডই হয়ে যান মায়াভো। ১৬১ রানে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে নিজের ২০০তম শিকার বানিয়ে আরেকটু উত্তেজনা ছড়িয়েছিলেন মিরাজ। 

কিন্তু ওয়েসলি মাধেভেরে তখনো ক্রিজে। ৫৫ বলে ১৯ রান করা মাধেভেরেই এক ওভার পর মিরাজের বলে রিভার্স সুইপে চার হাঁকিয়ে জিম্বাবুয়েকে এনে দেন অবিস্মরণীয় জয়। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ২৭৩ রান করে ৮২ রানের লিড নিয়েছিল অতিথিরা। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটসম্যানরা কার্যকর হতে পারেননি। ২৫৫ রানে অলআউট হলে জিম্বাবুয়ের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭৪ রানের।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত