তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে তুমুল নাটক চলছে গত কয়েকদিন ধরে। তাকে খেলানোর জন্য মোহামেডানের চাপের কাছে হার মেনেছিল বিসিবি। তবে প্রতিবাদের মুখে বিসিবি তাদের অবস্থান বদলেছে। এ কারণেই বিসিবির চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন আইসিসির এলিট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ। তাহলে কী আছে হৃদয়ের ভাগ্যে?
গত ১২ এপ্রিল মিরপুরে আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় মোহামেডান অধিনায়ক হৃদয়কে। তার নামের পাশে যোগ হয় ৪টি ডিমেরিট পয়েন্ট, সঙ্গে করা হয় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা। এরপরও হৃদয় ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ঘটনা যদি অন্যদিকে যায়, আমি মুখ খুলব ইনশাআল্লাহ।’ তার এমন মন্তব্যের পর শাস্তি বাড়িয়ে তাকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে এক ম্যাচ পরেই গত ২০ এপ্রিল বিকেএসপিতে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে মাঠে নামানো হয় হৃদয়কে। অথচ সেই ম্যাচে তার মাঠের বাইরে থাকার কথা ছিল। জানা যায়, হৃদয়ের শাস্তি কমানোর জন্য মোহামেডান সিসিডিএমে আবেদন করলেও টেকনিক্যাল কমিটি সাড়া দেয়নি। পরে আম্পায়ার্স কমিটি হৃদয়ের শাস্তি কমায়, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। কারণ, এই সিদ্ধান্তের এখতিয়ার আম্পায়ার্স কমিটির নেই।
এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে বিসিবি। বাধ্য হয়ে গতকাল বুধবার আম্পায়ার্স কমিটির সভা হয়। এরপর জানা যায়, হৃদয়কে আরও এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটাতে হতে পারে। সভা শেষে আম্পায়ার্স কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এটা ভুল করেছি। প্রক্রিয়াটা ভুল ছিল। সৈকতকে আমরা পুরো বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ও তার অবস্থান থেকে সরে এসেছে।'
এছাড়া তিনি জানান, পদত্যাগ করা সাবেক আম্পায়ার ও জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার এনামুল হকের জায়গায় এখন বিসিবি পরিচালক নাজমূল আবেদীন টেকনিক্যাল কমিটির প্রধানের দায়িত্ব নেবেন। সুপার লিগে মোহামেডানের ম্যাচ বাকি আর দুটি, যার প্রথমটি ২৬ এপ্রিল মিরপুরে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে। বিসিবি তাদের নতুন সিদ্ধান্ত থেকে সরে না এলে ওই ম্যাচে হৃদয়ের খেলার সম্ভাবনা নেই।