শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ

সেনা পাঠানোর কথা স্বীকার করল উত্তর কোরিয়া

আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২১ পিএম

প্রথমবারের মতো ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে সেনা পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গতকাল সোমবার এ তথ্য জানায় বিবিসি। পিয়ংইয়ংয়ের সেনাবাহিনীর দাবি, কিম জং উনের নির্দেশে তাদের সেনারা রুশ বাহিনীকে কুরস্ক সীমান্ত অঞ্চল সম্পূর্ণ মুক্ত করতে সহায়তা করেছে। সম্প্রতি রাশিয়ার চিফ অব স্টাফ ভ্যালেরি গেরাসিমভও উত্তর কোরিয়ার সেনাদের বীরত্বের প্রশংসা করেন। মস্কোর পক্ষ থেকে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ইউক্রেন যুদ্ধে সম্পৃক্ততার এটিই প্রথম প্রকাশ্য স্বীকৃতি।

কুরস্কে নিজেদের জোট ও ভ্রাতৃত্ববোধের প্রদর্শনের কথা বলেছে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া। তারা বলেছে, ‘রক্তে প্রমাণিত বন্ধুত্ব’ প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণে বড় অবদান রাখবে।

কেসিএনএ অবশ্য বলেনি যে কুরস্ক মিশন শেষে উত্তর কোরিয়ার এ সেনাদের নিয়ে কী করা হবে। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, কিম ও পুতিনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীরতর হওয়ার প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়ার এসব সেনাকে গত অক্টোবরে মোতায়েন করা হয়।

গেরাসিমভ জানান, রাশিয়া কুরস্ক অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করেছে। তবে ইউক্রেন এটি অস্বীকার করেছে। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়া এবং পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায়, পিয়ংইয়ং গত বছর কুরস্কে হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে। কেসিএনএ জানিয়েছে, সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্তটি পিয়ংইয়ং এবং মস্কোর মধ্যে স্বাক্ষরিত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তির ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে।

গত অক্টোবর মাস থেকে ইউক্রেনে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের খবর শোনা যাচ্ছিল। সেই সময় রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সেখানে বলা হয়, আগ্রাসনের শিকার হলে তারা একে অন্যকে সহায়তা করবে। পশ্চিমা কর্মকর্তারা জানুয়ারি মাসে বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, প্রায় ১১ হাজার উত্তর কোরিয়ার সেনার মধ্যে গত তিন মাসে অন্তত এক হাজার জন নিহত হয়েছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত