গাজীপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে সৃষ্ট বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম তাসলিমা আক্তার (৩০)। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল দুইজন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান তাসলিমা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানটির জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান।
ডা. শাওন জানান, বিস্ফোরণে তাসলিমার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। ঘটনার রাতে তাকে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, গত রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গাজীপুরের বাসন থানার মোগরখাল এলাকায় একটি বাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তাসলিমা আক্তার ছাড়াও দগ্ধ হন তার মেয়ে তানজিলা (১০), প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া সিমা (৩০), পারভিন (৩৫) এবং পারভিনের ছেলে আইয়ান (দেড় বছর বয়সী শিশু)।
নিহত তাসলিমার স্বামী হোসেন আলী জানান, তিনি ও তাসলিমা দুজনেই গার্মেন্টস শ্রমিক ছিলেন। পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তাসলিমা সম্প্রতি চাকরি ছেড়ে ঘরেই থাকতেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তাদের গ্রামের বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার ধারাপানি গ্রামে। ঘটনার সময় বাসায় ছিলেন তাসলিমা ও তার মেয়ে তানজিলা। গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন ধরে গেলে দুজনই দগ্ধ হন।
প্রতিবেশী রোমান জানান, গত রবিবার সন্ধ্যায় পারভিন বাসায় রান্না করছিলেন। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডারে লিকেজের কারণে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়লে শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে গাজীপুর সদর হাসপাতালে এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।