বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

‘কলিজা টানি ছিঁড়ি ফেলবো- চেনো বিএনপিকে’

আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম

‘কলিজা টানি ছিঁড়ি ফেলবো- একবারে টানি ছিঁড়ি ফেলবো তোমার, চেনো তুমি-এ চেনো! খুব পাওয়ার দেখাও, একবারে নিশ্চিহ্ন করে দেবো তোমাক, চেনো বিএনপিকে। তোমার নামে আমি মামলা দেবো। আমি থানা যাইয়া ওখানে লিখবো, উয়াক এরেস্ট করি দিয়ো তারপরে আমি আসবো।’

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলা বিএনপি নেতার এমন হুঙ্কারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ নিয়ে উপজেলাজুড়ে শুরু তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওর বিএনপি নেতার নাম আনিছুর রহমান। তিনি রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক। 

ভাইরাল হওয়া ভিডিও নিয়ে রাজারহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক রুবেল মিয়া জানান, গত ২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুরে চান্দামারী দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে অভিভাবক সমাবেশে বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি পদের জন্য নাম চাওয়া হয়। এসময় বিএনপির নেতা আনিছুর রহমান উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রুশো চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক বাদশা মিয়ার ছোট ভাই শাহ আলম মাস্টার ও উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী রহিমা বেগম এই তিন জনের নাম প্রস্তাব করেন।

রুবেল বলেন, সভাপতির জন্য ওই তালিকার বিপরী‌তে আমিও রাজারহাট উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আহমদ আলীর নাম প্রস্তাব করলে সেখানে বাকবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজারহাট বাজারে থানামোড়ে আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন আমার পথরোধ করে পাশের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে চড়, থাপ্পড় মারে, লাঞ্ছিত ও গালিগালাজ করে। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে থানায় অভিযোগ করিনি। 

ভিডিও প্রসঙ্গে রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আনিছুর রহমান বলেন, রুবেল মিয়া শিবির করে। সে বিএনপিকে নিয়ে মিথ্যা কথা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছিল। এই বিষয়ে তাকে বলা হলে সে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়। তাকে নিয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের ছেলেরা চা-নাস্তা করে। সুন্দরভাবে তারা সেখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। কিন্তু সে ওই ঘটনার পুরো ভিডিও না দিয়ে শুধু আমার কথার অংশটুকু অন্য ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত