বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্কের জরিপ

খাদ্য সংকোচনে জীবন, ন্যায্য বাজেটের প্রত্যাশা

আপডেট : ০৩ মে ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় খাবারের তালিকায় কাটছাঁট করতে বাধ্য হচ্ছেন দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ। পেট ভরানোর লড়াইয়ে নাস্তা বাদ যাচ্ছে, কমছে দুপুরের খাবারও। তরুণ গবেষণা সংগঠন ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্কের জরিপে এমন তথ্য জানানো হয়।

সাম্প্রতিক জরিপ বলা হয়, দেশের নিম্ন আয়ের ৯৯ শতাংশ মানুষ কখনো না কখনো খাবার কমাতে বাধ্য হয়েছেন। মার্চ মাসে পরিচালিত জরিপে দেশের বিভিন্ন জেলা ও শহরের ১ হাজার ২২ জন অংশগ্রহণ করেন।

জরিপ অনুযায়ী, প্রতি ১০ জনের ৬ জন জানিয়েছেন, তারা নিয়মিত নাস্তা বাদ দেন। কেউ কেউ দুপুরের খাবার বা বিকেলের নাশতাও ছাড়তে বাধ্য হন। খাবারের তালিকায় বেশি দেখা গেছে কমদামি খাবার- বিস্কুট, কলা, ডিম ও পরোটা।

নিম্ন আয়ের মানুষের এই খাবার সংকটের মধ্যেই নিত্যপণ্যের ওপর ভ্যাটের বোঝা বেড়েছে। 

জরিপের ৬৯ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন, নিত্যপণ্যের ওপর বিদ্যমান কর তাদের জীবনে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে সস্তা খাবারের মধ্যে বিস্কুটের ওপর কর বৃদ্ধির বিষয়টি সাধারণ মানুষের সংকট আরও প্রকট করেছে। চলতি অর্থবছরের মাঝপথে সরকার বিস্কুট, কেক ও অন্যান্য বেকারিপণ্যের ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করে। পরে সমালোচনার মুখে তা কমিয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হলেও, খাবারের ব্যয় আগের তুলনায় বেড়েই গেছে।

জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৮৮ শতাংশ মনে করেন, আগের বাজেটে তাদের জীবন সংগ্রামের প্রতিফলন ঘটেনি। তবে ৭০ শতাংশ মানুষ আশা প্রকাশ করেছেন, নতুন বাজেটে হয়তো তাদের কথা কিছুটা হলেও বিবেচনায় আনা হবে।

মানুষের প্রধান চাওয়া নিত্যপণ্যের ওপর কর ছাড়, কম আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি ও সরাসরি সহায়তা ও উচ্চ আয়ের মানুষের ওপর বাড়তি কর আরোপ।

গবেষকরা সুপারিশ করেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের ওপর বিদ্যমান ভ্যাট কমিয়ে ০ থেকে ৫ শতাংশের মধ্যে আনতে। তাদের মতে,  এতে মৌলিক খাবারের নাগাল কিছুটা সহজ হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত