খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কর্তৃপক্ষ ৩৭ শিক্ষার্থীকে শোকজ করার প্রতিবাদে ফের আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৩ মে) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছেন তারা। অন্যদিকে, একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার সপ্তম দিনেও ক্লাসে যাননি কুয়েটের শিক্ষকরা।
শিক্ষক সমিতির দাবি, শিক্ষকদের লাঞ্চিতকারী শাস্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা কোনো ক্লাস-পরীক্ষা নেবেন না। এমন পরিস্থিতিতে উভয় সংকটে পড়েছেন কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, মঙ্গলবার (১২ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় ক্যাম্পাসের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এরপর দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন এবং প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, শিক্ষকদের লাঞ্চিত করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ৩৭ শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় কুয়েট কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৫ মে বিকেল ৫টার মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা ভিত্তিহীন বলে তারা দাবি করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছিল, সেই হামলাকারীদের এখনও কোনো শাস্তি হয়নি। অথচ সাধারণ শিক্ষার্থীরা শাস্তির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
এদিকে একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার সপ্তম দিনেও ক্লাসে যাননি কুয়েটের শিক্ষকরা। এ বিষয়ে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের লাঞ্চিতকারী শিক্ষার্থীদের শাস্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা ক্লাস-পরীক্ষা নেবেন না।
কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের শোকজ করা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের পর থেকে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা। এ অবস্থায় সেশনজট বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষার্থী।