নাটোরের বড়াইগ্রামে মাদরাসা সুপারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও অভিভাবক সমাবেশে দাওয়াত না দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে উপজেলার তিরাইল ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রদল কর্মীরা হলেন- তিরাইল গ্রামের শাকিল হোসেন (২৩), হৃদয় হোসেন (২৮), ইয়ামিন হোসেন (২৩), রিয়াদ হোসেন (২২) ও ইয়াছিন আরাফাত আকিব (২৩)। তাদেরকে বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি মাদরাসার চাকরীচ্যুত সুপার মাওলানা আবুল হোসাইন সাঈদী আদালতের রায় পেয়ে পুনরায় যোগদান করেন। কিন্তু মাঝগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিহাবউদ্দিন শিমুল বলেন মাদরাসায় আসতে হলে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। এদিকে, বৃহস্পতিবার মাদরাসায় অভিভাবক সমাবেশ চলাকালে শিমুল ও তার অনুসারীরা গিয়ে সুপারের মাদরাসায় আসার প্রতিবাদ করেন এবং তাকে দাওয়াত না দেয়ায় অভিভাবক সমাবেশ বন্ধ করে দেন। এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা তাদের বাধা দিলে উভয় পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে মাঝগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শিহাব উদ্দিন শিমুল বলেন, দীর্ঘদিন মামলা চালানোর কারণে মাদরাসার ১০-১২ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমি সে টাকা দিয়ে সুপারকে মাদরাসায় আসতে বলেছি। আমি নিজের জন্য কোন চাঁদা চাইনি।
মাদরাসার সুপার মাওলানা আবুল হোসাইন বলেন, আদালতের রায় পেয়ে আমি মাদরাসায় যাচ্ছি। কিন্তু শিমুল আমার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছে। অন্যথায় মাদরাসায় যেতে নিষেধ করেছে। আজ তারাই মাদরাসায় এসে অভিভাবক সমাবেশে ঝামেলা করেছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।