সরকার যদি ডিসেম্বরেও নির্বাচন করে, জামায়াতের কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এমনকি দুই মাস পরেও করলেও আপত্তি নেই। তবে সরকারের উচিত একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া। আমরা দুটি রোডম্যাপ চেয়েছি—একটি নির্বাচনের, অন্যটি সংস্কারের।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে কুমিল্লা সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ আয়োজিত স্নাতকোত্তর ডাক্তারদের সম্মাননা-২০২৫ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় বিষয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান কাজই হবে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করা। এর পাশাপাশি কিছু সংস্কার প্রয়োজন, যা একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, দেশ এখন একটি জটিল সময় পার করছে। এ সময় সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে এবং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে ভূমিকা রাখতে হবে।
বর্তমান সরকার ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে আর ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। যারা বর্তমানে দায়িত্বে আছেন, তারা যেন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন। এমন কোনো বক্তব্য বা ভূমিকা নেওয়া উচিত নয়, যা দেশে নতুন করে উত্তেজনা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।
ডা. শাহিনুল আলম বলেন, স্বাস্থ্য খাত আজ রাজনৈতিক নেতৃত্বের বোঝা বহন করছে। ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি থেকে শুরু করে প্রাইভেট হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ—সবই রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণে চলছে।
চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে ৭০ শতাংশ চিকিৎসা ব্যয় রোগীদের পকেট থেকেই যায়। তাই আমাদের প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা অনুসরণ করে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবির, সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাজী নুর উদ্দিন, অধ্যক্ষ ডা. সফিকুর রহমান পাটোয়ারী, কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, উপাধ্যক্ষ ডা. জহিরুল হক, ডা. ফজলুল হক এবং কলেজের ডিজিএম বেলাল হোসাইন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্নাতকোত্তর চিকিৎসকদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।