হাভিয়ের কাবরেয়া, বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচের চেয়ারে কাটিয়ে দিয়েছেন প্রায় চার বছর। অনেক উত্থান-পতনেরই সাক্ষী এই স্প্যানিয়ার্ড। মনের দুয়ার খুলে দেশ রূপান্তরের সুদীপ্ত আনন্দ’র সঙ্গে ভাগাভাগি করেছেন বাংলাদেশের কোচ হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতা আর আগামীর স্বপ্ন, যার গন্ডি দক্ষিণ এশিয়া ছাড়িয়ে আরও দূরে
বাংলাদেশ জাতীয় দলের দায়িত্বে আছেন সাড়ে তিন বছর হয়ে গেল। দীর্ঘ যাত্রা পথের অভিজ্ঞতাগুলো জানতে চাই-
হাভিয়ের কাবরেরা : সাড়ে তিন বছর অনেক অভিজ্ঞতাই হয়েছে। অনেক আনুষ্ঠানিক ম্যাচ, সাফ, এশিয়ান গেমস, বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের অনেক ম্যাচে ডাগআউটে দাঁড়িয়েছি। অনেকগুলো ট্রেনিং সেশন করেছি এই সময়টাতে। পাশাপাশি লিগগুলো দেখতে এবং ফুটবলারদের পারফরম্যান্স দেখতে দেশ জুড়ে অনেক পথ পাড়ি দিয়েছি। আমার জন্য এসব কিছু অনেক বড় অভিজ্ঞতা। প্রথম বছরটা বুঝে উঠতে সময় চলে গেছে। এরপর ধীরে ধীরে আমার ভাবনা ও দর্শন সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং এর সঙ্গে মানানসই ফুটবলারদের খুঁজে নিয়েছি। ধীরে ধীরে দলকে উন্নতির পথে রাখার চেষ্টা করেছি। চতুর্থ বছরে এসে আমি ভীষণ রোমাঞ্চিত কারণ দলে হামজার মতো ফুটবলার পেয়েছি। হামজা আসার আগেও দল ভালো খেলেছে। এখন দেখার ওর সংযুক্তিতে দল আরও কতটা এগিয়ে যায়। আমাদের লক্ষ্য অন্য উচ্চতায় জাতীয় দলকে নিয়ে যাওয়া। সেই লক্ষ্যে এখন ফেডারেশনের নতুন নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করছি। আমি সব ব্যাপারে ভীষণ ইতিবাচক। এভাবেই সবাই মিলে একটি শক্তিশালী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়াই আমার মূল লক্ষ্য।
ফুটবল নিয়ে স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ কতটা সহায়ক, বিশেষ করে আপনার মতো কোচের জন্য। আপনি এসেছেন স্পেন থেকে, যে দেশটি নিজেদের ফুটবল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে?
কাবরেরা : আমি খুব নিবিড়ভাবে ফেডারেশনের নতুন সভাপতি তাবিথের সঙ্গে কাজ করছি। একই সঙ্গে আমি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ আগের সভাপতি সালাউদ্দিনের প্রতি। কারণ তিনি আমার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। অনেক সমর্থন পেয়েছি তার কাছ থেকে। যে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমি শতভাগ স্বাধীনতা পেয়েছি এবং পাচ্ছি। আমি আমার ধ্যান-ধারণাগুলো সবসময় জাতীয় দল কমিটির সভায় উপস্থাপন করি। আমার সাপোর্টিং স্টাফদের সঙ্গেও কথা বলি। তবে দল গঠন, একাদশ নির্বাচন থেকে সব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আমি একাই নিই। যা আমার কাজকে অনেক বেশি সহজ করেছে।
সুযোগ সুবিধা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই তো?
কাবরেরা : সাড়ে তিন বছর আগে যেমনটা ছিল, তার চেয়ে সুযোগ-সুবিধা অনেক বেড়েছে। এখন আমি বিশেষজ্ঞ কোচ পাচ্ছি, ট্রেনার পাচ্ছি, ফিজিও পাচ্ছি। ট্রেনিংয়ের সুযোগ-সুবিধা নিয়েও আমার অভিযোগ তোলার সুযোগ নেই। কিংস অ্যারেনায় বেশিরভাগ সময় আমরা ট্রেনিং করি, যার সুযোগ-সুবিধা আধুনিক মানের। তাছাড়া আমরা এখন ভালো মানের হোটেলে থাকছি, দেশের বাইরে কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার সুযোগ পাচ্ছি। সুতরাং কোনো কিছু নিয়েই অভিযোগ করার সুযোগ নেই
আর যদি ফুটবলারদের মান সম্পর্কে বলা হয়?
কাবরেরা : ফুটবলারদের মান নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই। বাংলাদেশে অনেক প্রতিভাবান ফুটবলার আছে। অনেক তরুণ উঠে আসছে। বিপিএল নিয়মিত হচ্ছে, এছাড়া বয়সভিত্তিক দলগুলো এখন নিয়মিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলছে। এখন এই ফুটবলারদের জন্য একটা ভালো অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আরও উন্নতি করতে পারব, যদি ভালো মানের বেশ কিছু মাঠে খেলাগুলো হয়। আমি জানি ফেডারেশন চেষ্টা করছে সামনের দিনগুলো জন্য বেশ কয়েকটি মাঠকে উন্নত করতে। ভালোমানের ফুটবলারদের জন্য আমাদের খুব প্রয়োজন ভালো মাঠ নিশ্চিত করা। পাশাপাশি বয়সভিত্তিক পর্যায়ে খেলার সুযোগ আরও বাড়াতে হবে। আমি আবারও বলছি ফুটবলারদের প্রতিভা ও সামর্থ্য নিয়ে আমার কোনো শঙ্কা নেই।
স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে কতটা আশাবাদী?
কাবরেরা : একটি দেশের ফুটবলের ভিত তৈরি হয় স্থানীয়দের দিয়েই। এটাই মূল স্তম্ভ। আমাদের শেষ ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লাইন আপে ১১ জনের মধ্যে ৯ জন ছিল স্থানীয়। নব্বই ভাগ ফুটবলারই স্থানীয় পর্যায়ের। এর সঙ্গে প্রবাসীদের নিয়ে আসাটাও ভীষণ ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। তাতে করে দলের শক্তি অনেকটাই বেড়ে যায়। তবে এটাও মনে রাখতে হবে স্থানীয়রা অনেক বেশি মনোযোগী থাকে খেলার প্রতি, যা আমাদের দলীয়ভাবে অনেক বেশি সংঘবদ্ধ করে তোলে।
সবাই এখন হামজা স্তুতিতে ব্যস্ত। এটা ঠিক যে, হামজা অন্য পর্যায়ের খেলোয়াড়। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি এসেছেন বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে। তবে ভারতের বিপক্ষে স্থানীয়দেরও অসাধারণ ফুটবল খেলতে দেখা গেছে। বিশেষ করে রাকিব, শাকিল আহাদ তপুরা ছিলেন দুর্দান্ত...
কাবরেরা : রাকিব অসাধারণ একজন ফুটবলার। সে কেবল বল নিয়ে দ্রুত আক্রমণে ওঠা কিংবা বল নিয়ন্ত্রণের জন্য নেয়, রাকিব আমার কাছে একজন সত্যিকারের যোদ্ধা, যে জয় ছাড়া কিছুই বোঝে না। সে আমার দলের অন্যতম খেলোয়াড়। তবে আমি আরও অনেকের কথাই বলতে পারি। তপু তার ক্লাবে খুব বেশি খেলার সুযোগ পেত না। জাতীয় দলে ওকে নিয়মিত খেলানোর ফলে ও এখন নিয়মিত ক্লাবের হয়ে ম্যাচ টাইম পাচ্ছে। এছাড়া মিতুল মারমাকে দেখুন, কী পরিমাণ আত্মবিশ্বাস এখন ওর। অথচ দুই বছর আগে ওকে নেওয়া নিয়ে কত প্রশ্নই
না উঠেছিল। এছাড়া হৃদয়, ফাহিম, জুনিয়র
সোহেল আছে। আমি মনে করি দলে অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের দারুণ একটা মিশ্রণ হয়েছে। দলে তপু, তারিক কাজী, জামাল, সিনিয়র সোহেল, রহমত, সাদ, বিশ্বনাথরাও তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে ভূমিকা রেখে চলেছে। এদের সঙ্গে হামজা, শোমিতের মতো উচুমানের ফুটবলার যোগ হওয়ায় দলটা এখন অনেক সংঘবদ্ধ দেখাচ্ছে।
আপনি যে ধারণাটা প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন, সেটা কতটুকু পেরেছেন?
কাবরেরা : পুরোপুরি হয়তো হয়নি। তবে অনেকটুকুই হয়েছে। উন্নতিটা কিন্তু দৃশ্যমান হচ্ছে। এখন জাতীয় দলের ফুটবলাররা অন্য মডেলের ফুটবল খেলছে। আমরা এখন অনেক বেশি প্রেসিং ফুটবল খেলছি। ছেলেরা বল কেড়ে নিতে পারছে, পায়ে রাখতে পারছে। বল হারালে ঘাবড়ে যাচ্ছে না। ভয়ডরহীন ফুটবল খেলছে। তবে এটাও ঠিক উন্নতির কোন শেষ নেই। আমি মনে করি এখানে আমাদের অনেক কাজ করার আছে।
হামজা যোগ দেওয়ায় আপনি কি মনে করেন দল আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে?
কাবরেরা : সবার আগে দেখার ছিল আমরা যে ভাবনাটাকে প্রতিষ্ঠিত করে খেলতে যাচ্ছি, সেটা হামজা কত দ্রুত আত্মস্থ করতে পারে। ইতিবাচক দিক হলো হামজা সেই চিন্তার সঙ্গে সহজেই মানিয়ে নিয়েছে এবং তার অভিজ্ঞতা, পেশাদারিত্ব এবং সর্বোপরি বন্ধুবৎসল আচরণ দিয়ে দলে বিশাল প্রভাব ফেলেছে।
এখন তো আরও কয়েকজন প্রবাসী পেতে যাচ্ছেন। শমিত সোম, ফাহমেদুল ইসলামকে পাচ্ছেন। এছাড়া কিউবা মিচেলের কথাও শোনা যাচ্ছে। তাদের আসাটাও নিশ্চয় ইতিবাচক হবে?
কাবরেরা : অবশ্যই। তবে আমি বিষয়টাকে দুই ভাবে দেখছি। প্রথমত হামজার কথা বলব। ও আসলে একেবারেই অন্য পর্যায়ের ফুটবলার। দ্রুত দলে এসে দ্রুত প্রভাব ফেলেছে সে। ওর সঙ্গে তুলনা চলবে না। এরপরেই শমিত। যে কানাডা দলের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছে। শীর্ষ পর্যায়ের লিগে খেলার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। ৫-৬ মৌসুম মেজর সকার লিগে খেলেছে। এখন কানাডার শীর্ষ ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলছে। আমি নিশ্চিত তিনিও দলে দ্রুত প্রভাব ফেলতে পারবেন। তবে তাকেও কিছুটা মানিয়ে নেওয়ার সময় ও সুযোগ দিতে হবে। ধৈর্য ধরতে হবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো হামজার মতো সেও অনেকদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারবে। এরপর বলব এমন দুজন রোমাঞ্চকর তরুণের কথা, যারা ইতিমধ্যে তাদের সামর্থ্য বুঝিয়ে দিয়েছে। দুজনেরই বয়স ১৯-এর কোঠায়। কিউবা মিচেল একটি শীর্ষ দেশের যুব লিগে খেলছে। ফাহমেদুলও ইতালিতে খেলছে যদিও সেটা চতুর্থ ধাপের লিগ। আমার মনে হয়, এদের দুজনকে নিয়ে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে। তাদের দুজনের মধ্যেই ভবিষ্যতের তারকা হাওয়ার সবকিছু দেখতে পাই। তবে হামজার সঙ্গে তাদের কারোই তুলনা চলবে না। বাকিদের ঘিরে প্রত্যাশার পারদ চড়েছে ঠিক তবে তাদের সময় দিতে হবে। আর ভুলে গেলে চলবে না আমাদের স্থানীয়দের কথা। মনে রাখতে হবে এ দেশেও অনেক ভালোমানের খেলোয়াড় আছে।
আমি সে কথায় আসতে চাচ্ছিলাম। স্থানীয়দের মধ্যে প্রবাসীদের নিয়ে কোনো আতঙ্ক কাজ করছে না তো?
কাবরেরা : আমি একটা কথাই বলব। যদি সবাই মনে করে বিদেশ থেকে এসেই সবাই স্থানীয়দের চেয়ে ভালো খেলে ফেলবে, সেটা বড় ভুল বোঝা হবে। আমি জোর গলায় বলতে চাই, স্থানীয়দের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। তাদের প্রতিভা, তাদের সামর্থ্য এবং লড়াকু মনোভাবে আমার আস্থা শতভাগ। আমরা কিছু খেলোয়াড় বাইরে থেকে আনছি যাতে তারা দলকে আরেকটু এগিয়ে নিতে পারেন। আমি মনে করি না স্থানীয় ও প্রবাসীদের মিশ্রণ ঘটানো কঠিন, তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আরেকটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই। স্থানীয়দের মধ্যে প্রবাসীদের নিয়ে বিন্দুমাত্র আতঙ্ক দেখিনি। জায়গা হারানোর ভয়ও দেখিনি। বরং দলের মধ্যে ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটা পরিবেশ রয়েছে। স্থানীয়রা প্রত্যেককেই ভীষণ আপন করে নিয়েছে। ফাহমেদুলও কখনই এ রকম কিছু বোধ করেননি। তবে এটা ঠিক জাতীয় দল এমন একটা জায়গা, যেখানে আপনি পারফর্ম করতে না পারলে সরে যেতেই হবে। আপনি কোত্থেকে এসেছেন সেটা বিবেচ্য হবে না। আপনি ইতালি থেকে আসলেন নাকি সিলেট থেকে আসলেন সেটা দেখা হবে না। দেখা হবে শুধু পারফরম্যান্স।
বাংলাদেশের ক্লাবগুলোর অবস্থা অথৈবচ। বেশিরভাগের নিজস্ব ভেন্যু নেই। মোহামেডান শিরোপা জিতেছে, অথচ তাদের নিজস্ব একটা ট্রেনিং গ্রাউন্ডও নেই।
কাবরেরা : তার আগে আমি তো বলব, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ফুটবল নিয়ে যে উন্মাদনা দেখেছি, এমনটা অনেক দেশেই আপনি খুঁজে পাবেন না। বিশেষ করে জাতীয় দল যখন খেলে, তখন গ্যালারিতে ঢল নামে। এ রকম ফুটবলপাগল জাতিকে এমন কিছু ফুটবলারদের দিতে হবে, যা নিয়ে তারা গর্ব করতে পারে। কেবল জাতীয় দল নয়। এই সমর্থকদের একটা আকর্ষণীয় লিগ উপহার দেওয়া জরুরি। যেখানে ভালো মানের দেশি-বিদেশি ফুটবলাররা খেলবে, জমজমাট লড়াই হবে প্রতিটি ম্যাচে। কিন্তু এখানেই আমাদের খামতি আছে। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচগুলো বেশিরভাগ দর্শকশূন্য মাঠে হয়। অথচ সমর্থকরাই আন্তর্জাতিক ম্যাচে গ্যালারি ভরিয়ে তোলে। বুঝতে হবে তারা ভালোমানের ঘরোয়া ফুটবল দেখতে চায়। এদেশের সমৃদ্ধ একটা ক্লাব সংস্কৃতির কথা শুনেছি। আমি মোহামেডান, আবাহনী এমনকি রহমতগঞ্জের কথা বলতে পারি, যাদের একটা বিশাল ফ্যানবেইজ আছে। তাদের ঐতিহ্য আছে, সোনালী একটা অতীত আছে। বসুন্ধরা তুলনায় নতুন হলেও চেষ্টা করছে। তাই এখানে কেন ঘরোয়া ফুটবল আকর্ষণীয় হবে না, সেটা আমার মাথায় ঢোকে না।
আপনার চুক্তি তো আগামী বছর এপ্রিলে শেষ হবে। এরপর?
কাবরেরা : আমি তো বিশ্বাস করি, এখানেই আমি থেমে যাব না। আমি নিজেকে ২০২৬ এপ্রিলের আরও অনেক পর পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি। আশা করি আরও দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাব। নতুন সভাপতির সঙ্গে আমার অনেক কথা হয়েছে। তিনি জানেন, জাতীয় দল সম্পর্কে আমি এবং আমার কোচিং সহযোগী গভীরভাবে জানি। এ অবস্থায় কেন তিনি কোচ পরিবর্তন করবেন। দলটা এখন অনেক ভালো অবস্থায় আছে। বিশেষ করে হামজা আসার পর সবাই নড়েচড়ে বসেছে। আমি তো মনে করি ভবিষ্যতেও আমার চুক্তি আরও দীর্ঘায়িত হবে।