শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

বাজেটে নতুন বন্দোবস্তের প্রতিফলন ঘটেনি: এনসিপি

আপডেট : ০৩ জুন ২০২৫, ০৬:০২ পিএম

বাজেট বাস্তবভিত্তিক হলেও নতুন বন্দোবস্তের যে আকাঙ্ক্ষা, অর্থনৈতিক রূপান্তরের আকাঙ্ক্ষা এগুলোর পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বাজেটে নিম্ন, নিম্ন মধ্যবিত্তের জীবনমান উন্নয়নে প্রভাব পড়বে না বলেও জানায় দলটি।

মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলামোটর অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ২০২৫-২৬ প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম।

বাজেটে জন-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন হয়নি উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, সরকার বর্তমান সময়ের অর্থনীতির সমস্যাগুলো নির্ধারণ করতে পেরেছে। কিন্তু তার সঠিক সমাধান নেই। যেই বৈষম্যহীন ভিশনের কথা আমরা বলছি, সেটা এই বাজেটের মধ্যে দিয়ে আসেনি। 

তিনি বলেন, আগের যে অর্থনীতির কাঠামো, যে লুটপাটের অর্থনীতি এবং ঋণগ্রস্ত অবস্থা ছিল সেই অর্থনীতির বাস্তবতায় সরকারকে পরিচালিত হতে হচ্ছে এবং বাজেট প্রনয়ন  করতে হয়েছে। আগের অর্থনীতির কাঠামোর অনেক ছাপ এই বাজেটের মধ্যে দেখা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তৈরি হওয়া নতুন বাংলাদেশে আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল ধনী-গরীবের আয় বৈষম্য কমে আসবে। কিন্তু এই বাজেটে আমরা আয় বৈষম্য কমানোর কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখিনি। করদাতার সংখ্যা যেটি পূর্বে ছিল, সেটিই বিদ্যমান রয়েছে। যেসকল ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দেয়, তাদের করের আওতায় আনার কার্যকর  পদক্ষেপ আমরা দেখিনি। এর ফলে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের ওপর যে করের চাপ ছিল সেটি অব্যাহত থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কর্মসংস্থানের আন্দোলন থেকেই গণঅভ্যুত্থানের সূত্রপাত। ফলে তরুণদের ব্যাপকভাবে প্রত্যাশা বেকার সমস্যার সমাধান এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগ থাকবে। কিন্তু সেটি আমরা দেখতে পাইনি। গত এক বছরে ২৬ লাখ বেকার বেড়েছে। কর্মসংস্থান বাড়াতে জন্য যে ধরনের বিনিয়োগ বাড়ানোর দরকার ছিল সেরকম কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীলতা অব্যাহত রয়েছে। আগের আমলের মতোই ধারাবাহিকতা রয়েছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতে তেমন নতুনত্ব নেই। শিক্ষা খাতে ন্যূনতম জিডিপি ২ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করছি, যেটা ১ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। একইভাবে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য খাতেও বরাদ্দ বাড়েনি।

প্রবাসী শ্রমিকদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম প্রবাসীদের বিষয়ে নজর থাকবে এই বাজেটে। কারণ অর্থনৈতিক ভঙ্গুর অবস্থা থেকে প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিটেন্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নয়নের ক্ষেত্রে। অথচ অমরা দেখলাম প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের বাজেট কমানো হয়েছে। এটা আমরা নিন্দা জানাই। আমরা মনে করি তাদের ক্ষেত্রে বাজেট কমানো উচিৎ হয়নি।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত