শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় সুদের টাকা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
গত রবিবার দুপুরে খড়িয়া কাজিরচর ইউনিয়নের ভাটিলংগরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ীর নাম নুর আমিন (৩৮)। তিনি ভাটিলংগরপাড়া এলাকার নুর ইসলামের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত জলিলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা মাসিক ১০ শতাংশ হারে সুদে নেন নূর আমিন। সুদের টাকা কয়েক মাস নিয়মিত দিয়েছেনও তিনি। পরে সুদের টাকা অনিয়মিত হয়ে পড়ায় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। জলিল বলেন, ‘নূর আমিন এক মাসের কথা বলে টাকা নিয়ে ফেরত দেয়নি। ঋণ নেওয়ার ৬ বছর হয়ে যাওয়ায় এলাকায় কয়েক দফা সালিশ করেও সুরাহা হয়নি। তাই তাকে বাজার থেকে ধরে এনেছি। তাকে আমি মারধর করিনি। একপর্যায়ে তাকে যখন আটকাতে পারছিলাম না তখন বেঁধে রেখেছিলাম। পরে স্থানীয় নেতারা ও পুলিশ এসে আমাকে টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিলে তাকে ছেড়ে দিয়েছি।’
নূর আমিন বলেন, ‘সুদের টাকা বাকি পড়ার কারণে আমার মোটরসাইকেল আটক করে রেখেছে জলিল। পরে জলিল বলেছে আমার টাকা-পয়সাতে আর কোনো দাবি নেই। এ ছাড়া সে আমার বিরুদ্ধে কোর্টেও ‘মিথ্যা’ মামলা দায়ের করেছে। রবিবার আমাকে লংগরপাড়া বাজার থেকে ৬-৭ জন সন্ত্রাসী দিয়ে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে তার বাড়িতে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছে। উল্টো বলছে আমি নাকি গরু চোর।’
খড়িয়া কাজেরচর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফুল কবীর রূপা বলেন, ‘ঘটনা শোনার পর আব্দুল জলিলের বাড়িতে গিয়ে দেখি নূর আমিন বাঁধা অবস্থায় আছে এবং বাড়িতে মানুষ ভিড় করেছে। পরে আমি উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে দুই পক্ষকে সম্মত করি।’
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার জাহিদ বলেন, গাছে বেঁধে রাখার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছে বাঁধা অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়নি। তার আগেই স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টি সমঝোতা হয়েছে বলে জেনেছি। তাদের অভিযোগ থাকলে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।