বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

নিবন্ধনের আবেদন রবিবার জমা দেবে এনসিপি

আপডেট : ১৯ জুন ২০২৫, ১১:২৪ এএম

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন গ্রহণের শেষ দিন রবিবার (২২ জুন)। শেষ দিনই ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন জমা দেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দলটি। এখন চলছে দলটির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

ইসিতে নিবন্ধনের জন্য কোনো দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় কেন্দ্রীয় অফিস থাকা, অনূর্ধ্ব এক-তৃতীয়াংশ প্রশাসনিক জেলায় জেলা অফিস এবং অন্যূন ১০০ উপজেলা বা ক্ষেত্রমতে মেট্রোপলিটন থানায় অফিস (যার প্রতিটিতে সদস্য হিসেবে ন্যূনতম ২০০ ভোটার তালিকাভুক্ত হতে হবে) থাকার শর্ত পূরণ করতে হয়। পাশাপাশি দলের গঠনতন্ত্রে কিছু বিষয় উল্লেখ থাকতে হয়।

১ জুন ঢাকা মহানগর উত্তরে সমন্বয় কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে জেলা–উপজেলা পর্যায়ে এনসিপির কমিটি গঠন শুরু হয়। গতকাল বুধবার পর্যন্ত দেশের ৩৩ জেলা ও ১২৭ উপজেলায় সমন্বয় কমিটি করেছে এনসিপি। এই কমিটিগুলোর মাধ্যমে পরে জেলা–উপজেলা পর্যায়ে দলটির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হবে। অবশ্য দলের গঠনতন্ত্র এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

খসড়া গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে কেউ তিন মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। দলীয় প্রধানকে তিন বছর পরপর কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে।

কমিটি গঠনের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে দলীয় কার্যালয়ও স্থাপন করছে এনসিপি। এ ছাড়া জেলা–উপজেলা পর্যায়ে সদস্য ফরমও পাঠানো হয়েছে। এখন জেলা–উপজেলা পর্যায় থেকে দলীয় কার্যালয়ের চুক্তিপত্র, কমিটির সদস্যদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পূরণকৃত সদস্য ফরমসহ বিভিন্ন তথ্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠাচ্ছেন নেতা–কর্মীরা। ইসিতে জমা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে এগুলো যাচাই–বাছাই করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে  খসড়া গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করেছে এনসিপি। ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪—এই তিন ঐতিহাসিক ঘটনার সমন্বয়ে একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বনির্ভর রাষ্ট্র গঠন করতে চায় এনসিপি। তাদের লক্ষ্য দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। পাশাপাশি তারুণ্যনির্ভর বিকেন্দ্রীভূত গভর্ন্যান্সের (শাসন) মাধ্যমে তারা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে চায়।

খসড়া গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে কেউ তিন মেয়াদের বেশি থাকতে পারবেন না। দলীয় প্রধানকে তিন বছর পরপর কাউন্সিলের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে।

১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪—এই তিন ঐতিহাসিক ঘটনার সমন্বয়ে একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বনির্ভর রাষ্ট্র গঠন করতে চায় এনসিপি। তাদের লক্ষ্য দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা। পাশাপাশি তারুণ্যনির্ভর বিকেন্দ্রীভূত গভর্ন্যান্সের (শাসন) মাধ্যমে তারা একটি ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে চায়।
আগামী রোববার নিবন্ধনের আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই দলীয় গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করবে এনসিপি। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সভা হতে যাচ্ছে।

ওই সভায় এনসিপির গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত করা হবে বলে গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। মাঝে দুই দিন (শুক্র ও শনিবার) সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় শেষ দিনে (রোববার) ইসিতে এনসিপির পক্ষ থেকে ইসিতে নিবন্ধনের আবেদন জমা দেওয়া হতে পারে বলেও জানান তিনি।



সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত