বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

স্যাটেলাইট ছবিতে প্রমাণ

হামলার আগেই ফোরদো খালি করেছিল ইরান

আপডেট : ২২ জুন ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অভিযানের পূর্বেই ইরান তার ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ অপসারণ করেছে বলে প্রমাণ মিলছে উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণে। পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত এই অতি সুরক্ষিত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের প্রবেশপথে মাটির স্তূপ ও ভারী যন্ত্রপাতির সক্রিয়তা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।  

সিএনএন কর্তৃক প্রাপ্ত সর্বশেষ উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায়, ১৯ জুন ফোরদো স্থাপনার প্রবেশমুখে কমপক্ষে ১৬টি ডাম্প ট্রাক ও মাটি সরানোর বিশেষ যন্ত্র সজ্জিত অবস্থায় ছিল। পরবর্তী দিনের চিত্রে ধরা পড়ে টানেলের মুখগুলো আংশিকভাবে মাটি দ্বারা আবৃত হতে শুরু করেছে, পাশাপাশি মাটি খননের কাজও চলমান ছিল।

  

উল্লেখ্য, ফোরদো স্থাপনাটি একটি পর্বতের অভ্যন্তরে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মিটার (২৬০-৩০০ ফুট) গভীরে নির্মিত, যা প্রচলিত বোমা হামলা থেকে একে রক্ষা করার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ও ইসরায়েলি গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, এ ধরনের অত্যন্ত সুরক্ষিত স্থাপনায় কার্যকর হামলা চালানোর সামর্থ্য বর্তমানে কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরই রয়েছে, যাদের অস্ত্রভাণ্ডারে রয়েছে শক্তিশালী ‘বাংকার বাস্টার’ শ্রেণির বোমা।  

ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে গত ১৩ জুন থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর ছিল ফোরদোর দিকে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একাধিকবার এই স্থাপনায় হামলার জন্য মার্কিন সহায়তা কামনা করেছিলেন। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্যেও ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত মিলছিল।  

এদিকে, হামলার পর আজ রবিবার ইরানি কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ফোরদো স্থাপনা আগে থেকেই খালি করা হয়েছিল এবং মার্কিন হামলায় কোনো মৌলিক ক্ষতি হয়নি। তাদের মতে, সৃষ্ট ক্ষতি অতি দ্রুত পূরণ করা সম্ভব হবে। এই দাবির সপক্ষে শনিবার দুটি মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠানও তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছিল যে ইরান সম্ভবত ফোরদো থেকে সমস্ত সংবেদনশীল উপাদান অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত